কলকাতায় ২১ জুলাইয়ের সভায় যোগ দিতে যাওয়ার জন্য সাধারণ ট্রেন-যাত্রীদের ব্যাপক অসুবিধে হয়েছে বলে গত কয়েকদিন অভিযোগ উঠেছিল। শুক্রবারও তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ভিড় থাকলেও জিআরপি এবং আরপিএফের হস্তক্ষেপে এদিন অবস্থা নিয়ন্ত্রণে ছিল।
এদিন সারাদিন ধরেই বিভিন্ন ট্রেনে ভিড় করেছিল তৃণমূল সমর্থকেরা। হলদিবাড়ি এক্সপ্রেস এনজেপি স্টেশনে এলে তাতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। শিলিগুড়ি থেকে সাধারণ যাত্রী তো বটেই, শিলিগুড়ির তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকেরাও জায়গা পাননি অসংরক্ষিত কামরায়।
দুপুরে পানিট্যাঙ্কি এলাকা থেকে স্টেশনে এসেছিলেন যামিনী বর্মন এবং দিলীপ সিংহ। তাঁরা দু’জনেও এদিন ট্রেনে উঠতে পারেননি। তাঁদের কথায়, ‘‘সকালের ট্রেন তো ধরতেই পারলাম না। এখন রাতের ট্রেন ধরেই যেতে হবে।’’ উত্তরবঙ্গ এবং তিস্তা-তোর্সাতে এদিনও ভিড় ছিল যথেষ্ট। রাতের দার্জিলিং মেলে কোনও সমস্যা না থাকলেও পদাতিক এক্সপ্রেসে একই সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে যাত্রীদের। সমস্যায় পড়েছেন সংরক্ষিত কামরার যাত্রীরাও। সাধারণ টিকিট নিয়ে কয়েকজন যাত্রী সংরক্ষিত কামরায় উঠে যান। পরে অবশ্য আরপিএফের তৎপরতায় সেই সব যাত্রীদের সংরক্ষিত কামরা থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
এদিনও তৃণমূল নেতারা দাঁড়িয়ে থেকে সব কর্মী-সমর্থকদের ট্রেনে তোলেন। তাঁরা জানান, ২১ জুলাইয়ের সভায় যোগ দিতে যাওয়া বেশ কিছু যাত্রী সংরক্ষিত কামরার টিকিট কেটেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে মিলে কয়েকজন সমর্থকও ট্রেনে উঠেছিলেন। তবে সাধারণ যাত্রীদের কেউ ট্রেন থেকে নামিয়ে দেয়নি বলেও তাঁরা জানান।
যাত্রীদের সংরক্ষিত কামরা থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ গত কয়েকদিন ধরে ওঠার পরে বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার জিআরপি এবং আরপিএফের তরফে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সে কারণেই শুক্রবার সার্বিক ভাবে সেরকম কোনও অসুবিধের মুখে পড়েননি সাধারণ যাত্রীরা বলে দাবি করেন কর্তৃপক্ষ। এদিন ট্রেনের সঙ্গে বাড়তি কোনও কামরা জুড়তে হয়নি বলে রেলসূত্রে দাবি করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy