বচসা: টোটো দাঁড়ানো নিয়ে সমস্যা। সেবক মোড়ের ঘটনা। নিজস্ব চিত্র
শহরের ব্যস্ততম এলাকা সেবক মোড়ে বেআইনি পার্কিং নিয়ে এমনিতেই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই বেআইনি পার্কিংকে কেন্দ্র করেই এক মহিলা টোটো চালককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক পুরুষ সিটি অটো চালকের বিরুদ্ধে। অটোর ধাক্কায় ওই মহিলা চালকের টোটো সরিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। দুই তরফেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দেওয়ার দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। কিন্তু সন্ধে পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।
সেবক মোড়ে নিয়মিত ভাবে এলাকায় যানজট লেগে থাকে। বৃহস্পতিবার সমস্যা চূড়ান্ত আকার ধারণ করল এক মহিলা টোটো চালকের সঙ্গে এক সিটি অটোর পুরুষ চালকের হাতাহাতির জেরে। সেবক মোড় থেকে বিভিন্ন রুটের প্রায় ৫০টি করে অটো ব্যস্ততম রাস্তার উপর স্ট্যান্ড বানিয়ে সেখান থেকেই যাত্রী তুলছে বলে অভিযোগ। সেখানে মহিলা টোটো চালকরা যাত্রী তুলতে গেলে তাঁদের সঙ্গে ঝামেলার জেরে দীর্ঘ ক্ষণ যানজটের মধ্যে পড়তে হল সাধারণ মানুষকে।
মহিলা টোটো চালক সন্তোষী বর্মণের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে টোটো নিয়ে এসে না দাঁড়াতেই মহম্মদ কাদির নামে এক সিটি অটো চালক তাকে বিশ্রী ভাষায় গালিগালাজ করে। অম্বিকানগরের বাসিন্দা সন্তোষীর দাবি, ‘‘আমার স্বামী নেই। টোটো চালিয়ে সংসার চালাই। সেবক মোড়ে সাইড করে দাঁড়িয়ে যাত্রী নামাচ্ছিলাম। সেই সময় মহম্মদ কাদির এসে আমার টোটোর পিছনে ধাক্কা দিয়ে খানিকটা সামনের দিকে নিয়ে চলে যায়।’’
ঘটনার পর সেখানে চলে আসেন আরও কিছু মহিলা টোটো চালক। তাঁদের সঙ্গে কাদিরের একচোট বচসা হয়। তখনই গালাগাল করা হয় বলে অভিযোগ। তবে কাদিরের পাল্টা অভিযোগ, মহিলারা সাড়ে তিন বছর ধরে টোটো চালাচ্ছে। আমরা চালাচ্ছি ১৭ বছর। ওদের দাবি, এখানে দাঁড়াতে না দিলে তাঁরা আমাদের নামে অভিযোগ তুলবে। এদিন তাই করেছে।’’ মারপিটে কাদিরের জামাও ছিঁড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। ঝামেলার জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে সেবকের দিকে যাওয়ার রাস্তা। শুরু হয় তীব্র যানজট। ঘটনার খবর পেয়ে এয়ারভিউ ট্রাফিক গার্ডের কর্মীরা ছুটে এসে সমস্যা তখনকার মতো মিটিয়ে ফেলেন। কিন্তু তাঁদের তরফে দাবি করা হয়েছে। সরিয়ে দিলেও আবারও এসে পড়ে টোটো এবং অটো চালকরাও।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এলাকার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকেই বেআইনি ভাবে পার্কিং হয়ে চলেছে। কিন্তু কোনও নজর দিচ্ছে না ট্রাফিক পুলিশ। ট্রাফিক পুলিশ কর্তারা অবশ্য দাবি করেন, বেআইনি পার্কিং করতে দেওয়া হয় না। তবে বেআনি স্ট্যান্ড বানিয়ে সেবক মোড়ে যাত্রী তুললে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। রাস্তার উপর কেন দিনের পর দিন টোটো এবং স্ট্যান্ড থাকতে দিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। এলাকার ব্যবসায়ী স্বপন ঘোষ, অমিয় সরকারদের দাবি, রোজ প্রচুর টোটো এবং অটো সেবক মোড়ে যানজট যেরকম তৈরি করছে, তার জেরে তাঁদের ব্যবসাও মার খেয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (ট্রাফিক) তরুণ হালদার বলেন, ‘‘ আমরা খতিয়ে দেখছি কী করা যায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy