কামরূপ এক্সপ্রেস।
পনেরো দিনের মাথায় ফের দূরপাল্লার ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন লাগার ঘটনা ঘটল। রবিবার সকালে রেলকর্মী এবং স্থানীয় দুই যুবকের তৎপরতায় বড়সড় আগুনের হাত থেকে রক্ষা পেল ১৫৯৫৯ আপ ডিব্রুগড়-মুখী কামরূপ এক্সপ্রেস।
অসম-বাংলা সীমানার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জোড়াই রেল স্টেশনের কাছে ওই ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন দেখা যায়। সেই সঙ্গে ধোঁয়াও বের হতে থাকে। রেল কর্তারা জানান, ইঞ্জিনের সিলিন্ডারের সংযোগকারী রড ভেঙ্গে যাওয়ায় ইঞ্জিন থেকে কালো ধোঁয়া ও আগুন বের হতে থাকে।
রেল দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ৯টা ৫১ মিনিটে কামাখ্যাগুড়ি স্টেশন থেকে ছেড়ে কিছুদূর যাওয়ার পর রায়ডাক রেল সেতুতে ওঠার মুখে তখন চালক ইঞ্জিনের নিচে ধোঁয়া ও আগুন দেখতে পান। ব্রেক কষে ট্রেনটিকে রায়ডাক ২ নম্বর রেল সেতুর উপর দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। চালক রজত রায় ও সহকারী চালক উত্তম কুমার ইঞ্জিনের ভিতরের অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভাতে শুরু করেন।
আগুন নেভার আগেই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের গ্যাস শেষ হয়ে যায়। তখন ডাউন লাইনে অন্য একটি ট্রেন আসছিল। সেটিকে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়। সেই ট্রেন থেকে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নিয়ে স্থানীয় দুই যুবক এবং রেলকর্মীরা ইঞ্জিনের আগুন নেভাতে সক্ষম হন। খবর পেয়ে বারোবিশা ও তুফানগঞ্জ দমকল কেন্দ্রের ইঞ্জিন চলে আসে। কিন্তু ততক্ষণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনাল ম্যানেজার অমরমোহন ঠাকুর বলেন, “যান্ত্রিক কারণে ইঞ্জিনের সিলিন্ডারের সংযোগকারী রড ভেঙে যাওয়াতেই বিপত্তি। আমরা বিকল্প ইঞ্জিনের ব্যবস্থা করে ট্রেন গন্তব্যে উদ্দেশ্যে রওনা করে দিয়েছি।”
রেল দফতর সুত্রে জানা গিয়েছে ঘটনার সময় ট্রেনের চালক ও সহ চালক তাঁদের কেবিনেই ছিলেন। ট্রেনের ইঞ্জিনে চালক ও সহ-চালকের কেবিনের পিছনে জেনারেটর থাকে। তার পিছনে থাকে ১৬টি সিলিন্ডার। এই ১৬টি সিলিন্ডারের একটির সংযোগকারী রড প্রচণ্ড আওয়াজ করে ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। এর ফলে গোটা ইঞ্জিন বসে যায়। রড ভাঙার কারণে ইঞ্জিনে আগুন ও ধোঁয়া তৈরি হয়। রেলকর্তারা জানান, অগ্নিকাণ্ডে বিকল হয়ে যায় ইঞ্জিন। এর ফলে প্রায় দুই ঘণ্টা আপ লাইনে বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। অন্য একটি ইঞ্জিন এনে ট্রেনটিকে কামাখ্যাগুড়িতে স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy