ফাইল চিত্র।
গত বছর রাসের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেওয়া হয়। এক বছরের মাথায় ওই মন্দিরেই নিজে উপস্থিত থেকে রাজাদের কুলদেবতার উদ্দেশে পুজো দেওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। ওই ব্যাপারে প্রস্তুতিও শুরু করেছে দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড কর্তৃপক্ষ। পুলিশ, প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে মদনমোহন মন্দির ঘুরে দেখেন দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের সভাপতি তথা কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ন ও পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বলকর। প্রশাসন সূত্রের খবর, মন্দির চত্বরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর যাতায়াতের সম্ভাব্য রুট-সহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে রূপরেখা করা হচ্ছে। এ দিন ল্যান্সডাউন হলে রাসমেলা ও উৎসবের প্রস্তুতি নিয়েও বৈঠক হয়েছে। সেখানেও মুখ্যমন্ত্রীর সফরের সম্ভাবনা মাথায় রেখে সমস্ত প্রস্তুতির আলোচনা হয়েছে।
কোচবিহারের জেলাশাসক তথা দেবোত্তরের ট্রাস্ট বোর্ডের সভাপতি পবন কাদেয়ন বলেন, “ম্যাডাম মদনমোহন মন্দিরে যাবেন। সেজন্যই সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হয়। পুলিশ সুপারও ছিলেন।” রাসমেলা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠকের ব্যাপারে জেলাশাসক জানিয়েছেন, ১১ নভেম্বর থেকে রাসমেলা শুরু হবে। সমস্ত প্রস্তুতি ঠিকমতোই এগোচ্ছে। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনও খামতি রাখা হবেনা। প্রশাসন সূত্রের খবর, আজ মদনমোহন মন্দির চত্বরে আলোর ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার কথা রয়েছে। পূর্ত, বিদ্যুৎ, পুরসভা ও পুলিশের প্রতিনিধিরা একযোগে সব খতিয়ে দেখতে যাবেন বলেও ঠিক হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাট যাতে না হয় সেজন্যও সতর্ক থাকা হচ্ছে।
রাজ্যের মন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “১৩ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারে আসবেন। মদনমোহন মন্দিরে পুজো দেবেন। রাসমেলাও ঘুরবেন তিনি। তিনি চাইলে অবশ্যই বাণেশ্বর মন্দিরেও যাবেন।” দেবোত্তরের একটি সূত্রের দাবি, কোচবিহারের বাণেশ্বর মন্দিরে মুখ্যমন্ত্রী যদি যেতে চান, সেক্ষেত্রেও যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy