রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। ফাইল চিত্র।
ভোটের ফল জানার পরেই তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’বার টেলিফোনে কথা বললেন দলের উত্তরবঙ্গের কোর কমিটির চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেবের সঙ্গে। কোচবিহার থেকে জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার থেকে দার্জিলিং—সর্বত্র দল যাতে একজোট হয়ে চলে, তা দেখতে গৌতমবাবুকে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।
তার পরেই বিকেলে গৌতমবাবু ঘোষণা, ‘‘শুধু কালিয়াগঞ্জের ৫৬ হাজার নয়, আমার নিজের কেন্দ্র ডাবগ্রাম ফুলবাড়ির ৮৬ হাজার টপকে দেখাব। নেত্রী চাইলে, আমি আবার ওই কেন্দ্র থেকেই লড়ে ৮৬ হাজারের ‘গল্প’ মুছে দেব।’’ তার পরেই বললেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দু’বার কথা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের রাজনীতি নিয়ে উনি কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। আমরা ওঁর দেখানো পথেই দলকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’’
আগামী বছরই শিলিগুড়িতে পুরভোট এবং মহকুমা পরিষদ ভোট হওয়ার কথা। পরের বছর বিধানসভা ভোট। কিন্তু গত লোকসভা ভোটে গৌতমবাবুর পরপর দু’বার জেতা আসন ডাবগ্রাম ফুলবাড়িতে তৃণমূল বিজেপির থেকে প্রায় ৮৬ হাজার ভোটে পিছিয়ে পড়ে। তা নিয়ে দলের অন্দরে নানা আলোচনা শুরু হয়। শুধুমাত্র বামের ভোট রামে গেল না কি দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা, গোষ্ঠী কোন্দল, দলের একাংশ নেতাকে নিয়ে মানুষের অসন্তোষের ফল ভোটবাক্সে প্রতিফলিত হয়েছে তা দেখা শুরু হয়। ভোটের পর কিছুদিন চুপচাপ থেকে পিছিয়ে পড়ায় দায় নিজে স্বীকার করে নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েন বিধায়ক গৌতমবাবু। প্রশাসনিক স্তর থেকে রাজনৈতিক কাজকর্ম একযোগে করা শুরু করেছেন। সঙ্গে চলছে এলাকায় এলাকায় দিদিকে বলো কর্মসূচি। এবং দলের শুদ্ধকরণ। মন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আমাদের কোনও ভুল নিশ্চয়ই হয়েছিল। তাই কিছু মানুষ আমাদের থেকে সাময়িকভাবে সরে গিয়েছিলেন। সেই আস্থা আমরা আবার অর্জন করছি। এবার বাকি এলাকাগুলির পালা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy