Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

নিশীথের পিঠে প্রধানমন্ত্রীর হাত

কোচবিহার লোকসভা আসনের প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে কাছে টেনে নিয়ে পিঠ চাপড়ে দিলেন মোদী।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৯ ০৬:০১
Share: Save:

লোকসভা নির্বাচনে জয়ীদের প্রার্থীদের নিয়ে সভা করছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি সূত্রের খবর, সেই সভাতেই কুশল বিনিময়েরর সময় সবার সামনেই কোচবিহার লোকসভা আসনের প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে কাছে টেনে নিয়ে পিঠ চাপড়ে দিলেন মোদী। বিজেপির কোচবিহার জেলার নেতা বিরাজ বসু প্রধানমন্ত্রীর কুর্নিশে নিজের খুশি কথা জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, “প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেকটি মানুষের কথা ভাবেন। সবার জন্যে কাজ করেন। আমাদের সাংসদের পিঠ চাপড়ে দিয়ে প্রশংসা করেছেন। আমরা কাজের মধ্যে দিয়েই প্রধানমন্ত্রীর কথা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেব।”

বিজেপি’র কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “সন্ত্রাস কবলিত এলাকা কোচবিহার। রাজ্যের শাসক দল এই এলাকায় মানুষের উপর অত্যাচার করে এক ভয়াবহ পরিবেশ তৈরি করে রেখেছেন। সেখানে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনায় খুশি হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী।”

এক সময় কোচবিহার বামেদের গড় বলে পরিচিত ছিল। দীর্ঘ ৩৪ বছরের রাজত্বের পরে ২০১১ সালে রাজ্যে পরিবর্তন হয়। সেই সময় থেকেই তৃণমূলের গড় হয়ে উঠে কোচবিহার। একের পর এক লোকসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে আনে রাজ্যের শাসক দল। ২০১৬ সালে কোচবিহার লোকসভা উপনির্বাচনে ৪ লক্ষের বেশি ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল। এ বারের লোকসভা নির্বাচনে এমন একটি আসন থেকেই বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়ায় নিশীথ প্রামাণিক। নিশীথ এক সময় কোচবিহারে যুব তৃণমূলের দাপুটে নেতা ছিলেন। সেই সময় যুব ও মূল তৃণমূলের দ্বন্দ্বে বারে বারে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহার জেলা। নিশীথ প্রামাণিককে দল থেকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। এর পরেই নিশীথ বিজেপিতে যোগ দেন। পরে তাঁকে দল প্রার্থী করানোর সিদ্ধান্ত নেয়।

কিন্তু নিশীথ প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার পরে বিজেপি নেতা-কর্মীদের একটি অংশ তা মেনে নেবেন না বলে জানিয়ে দেন। প্রার্থী পাল্টানোর দাবিতে আন্দোলনেও নেমে যান অনেকে। শেষপর্যন্ত অবশ্য রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে বিজেপি কর্মীরা নিশীথকে প্রার্থী মেনে নিয়ে ময়দানে নামেন।

এই অবস্থায় কোচবিহার লোকসভা আসন থেকে কী জয় ছিনিয়ে আনা সম্ভব হবে—তা নিয়ে দলের মধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়। মোদী কোচবিহার রাসমেলার মাঠে সভা করে নিশীথকে জেতানোর আহ্বান করেন। ৫৪ হাজারের বেশি ভোটে কোচবিহার আসন থেকে জয়ী হন নিশীথ। সেই জয়ে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি বিজেপি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। প্রধানমন্ত্রী নিজেও যে খুশি তা জানিয়ে দেন তিনি পিঠ চাপড়েই। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বামেদের ভোট বিজেপি’তে পরেছে। তাই ওই জয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE