প্রতীকী ছবি।
এ বছর থেকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘টি সায়েন্স’-এ স্নাতকস্তরে পড়াশোনা চালু করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সে কথা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কাউন্সিলের সচিব নুপূর দাস। তিনি জানান, এই প্রথম উত্তরবঙ্গের ছেলেমেয়েরা টি সায়েন্সে স্নাতকস্তরের পড়াশোনা করতে পারবে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কোনও কলেজে এই কোর্স চালু হচ্ছে না। কলেজ গুলি এখনও সে ভাবে উৎসাহ দেখায়নি বলে দাবি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে টি সায়েন্সের আলাদা বিভাগ রয়েছে। সেখানেই কোর্সটি শুরু করা হবে।
আগামী ১০ অগস্ট থেকে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তবে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ক্যাম্পাস থেকে কোনও ফর্ম বিলির ব্যাপার থাকছে না। নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদনের পুরো প্রক্রিয়াই অনলাইনে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইট www.nbu.ac.in –এ গিয়ে কেউ নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদন করতে পারবেন।
উত্তরবঙ্গে চা শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাগানগুলিতে কাজের সুযোগও রয়েছে। সেই মতো টি সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনার দাবি দীর্ঘদিনের। সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে দেরিতে হলেও বছর কয়েক আগে টি সায়েন্সে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা শুরু হয়। স্নাতকস্তরের পাঠ্যক্রম না থাকায় স্থানীয় পড়ুয়াদের অংশগ্রহণ কম হচ্ছিল। স্নাতকস্তরে পড়ার সুযোগ না থাকলে স্নাতকোত্তর স্তরে পড়ুয়া পেতেও সমস্যা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সব কিছু মাথায় রেখেই টি সায়েন্সে এ বার স্নাতকস্তরে পড়াশোনা চালু করা হচ্ছে বলে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কাউন্সিলের তরফে জানানো হয়।
কর্তৃপক্ষ জানান, প্রথমে ২০টি আসন থাকবে। দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞানের শাখায় যারা জীববিদ্যা, রসায়ন, মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে পড়াশোনা করেছে, তারা এই কোর্সে ভর্তি হতে পারবে। যে হেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই স্নাতকস্তরের কোর্স, তাই অনার্সে টি সায়েন্স ছাড়া অন্য বিষয়গুলি বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষকরাই পড়াবেন।
তিন বছর আগে ভূতত্ত্ববিদ্যা এবং দু’বছর আগে নৃতত্ত্ববিদ্যায় স্নাতকস্তরের পড়াশোনা চালু হয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। ওই দু’টি বিষয়ে যথাক্রমে ১৫টি এবং ২০টি করে আসন রয়েছে। তাতে ভাল সাড়া মিলছে বলে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ দাবি করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy