নেতা: মাথাভাঙায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জে পি নাড্ডা। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শাসকদলের পাশাপাশি কোচবিহার ‘পাখির চোখ’ এখন বিজেপিরও। রাজ্যের শাসকদলের উপর চাপ বাড়াতে, সেখানে তাঁদের দল শক্তিশালী হয়ে উঠছে, এমনই দাবি করলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা। বৃহস্পতিবার বিকেলে মাথাভাঙার নজরুল সদনে কর্মিসভায় যোগ দেন তিনি। এখানেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে বুঝেছি আসন্ন নির্বাচনে শক্তিশালী দল হিসেবে উঠে আসছে বিজেপি। নির্বাচনে ভাল ফল করবে দল।” কর্মীদের সাধারণ ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি মণ্ডল ধরে ধরে পনেরোটি করে হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ তৈরির নির্দেশ দেন।
বুধবার প্রশাসনিক সভায় কোচবিহারকে গুরুত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনের কর্তাদের ভর্ৎসনা করে তিনি জেলার উন্নয়নের কাজে জোর দিয়েছেন। ডিসেম্বরের মধ্যে একশো দিনের কাজ সহ একাধিক প্রকল্পে গতি আনতে বলেছেন। অবশ্য প্রকাশ্যে তৃণমূল বিজেপির দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। রাজ্যের শাসক দলের কোচবিহার জেলা সভাপতি, মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ অবশ্য বলেন, “বিজেপি হাজার চেষ্টা করেও কোচবিহারে ভাল ফল করতে পারবে না। মুখ্যমন্ত্রী যা উন্নয়ন করেছেন তাতে কেউই তৃণমূলকে রুখতে পারবে না। কেন্দ্রের নেতা-মন্ত্রীরা এসে কোচবিহার ঘুরে বাড়ি যাবেন।”
এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলা কোচবিহারে নিজেদের সংগঠন বাড়িয়ে নিতে ঊঠেপড়ে নেমেছে বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনে বাম প্রার্থীকে পিছনে ফেলে দু’ নম্বরে উঠে আসে বিজেপি। কোচবিহার পুরসভার সব আসনেই লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে রাজ্যের শাসক দলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে তারা। সেই সঙ্গে সাবেক ছিটমহলের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একটি বড় অংশের সমর্থন পেয়েছে বিজেপি। প্রকাশ্যেই ওই সংখ্যালঘুরা বিজেপির হয়ে সওয়াল করছেন। এই অবস্থায় বিজেপির রাজ্য নেতারা তো বটেই কেন্দ্রীয় নেতারাও ঘন ঘন কোচবিহারে দলীয় সভায় যোগ দিচ্ছেন।
বিজেপির এক গুরুত্বপূর্ণ জেলা নেতার কথায়, “প্রথম ধাক্কাটা আমরা পঞ্চায়েতেই দিতে চাইছি। অন্ততপক্ষে অর্ধেকের বেশি আসনে ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসক দলকে চ্যালেঞ্জের জায়গায় নিয়ে গিয়েছি। বিধানসভায় উপড়ে ফেলে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।” তৃণমূলের এক নেতা অবশ্য বলেন, “বিজেপি খুব বেশি এগোতে পারবে না। দুই-একটি নির্দিষ্ট এলাকা ছাড়া এখনও কোথাও তেমন সংগঠন তৈরি করতে পারেনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy