ফাইল চিত্র।
কেরলে দুর্যোগের জেরে সে রাজ্যে পর্যটনে ক্ষতি হয়েছে, তবে সেই দুর্যোগের জেরে ভিড় বাড়ছে উত্তরবঙ্গে।
পুজোর মরসুমে দার্জিলিং, সিকিমের অধিকাংশ হোটেল, অতিথি নিবাসেই ফাঁকা ঘর নেই। কেরলে দুর্যোগের পরে সেই দার্জিলিং, সিকিমে পুজোর সময়ে বেড়ানোর জন্য নতুন করে পর্যটকদের ঢেউ আছড়ে পড়ছে। ইস্টার্ন হিমালয়ান ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটরর অ্যাসোসিয়েশন (এটোয়া) সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা তো বটেই, দক্ষিণ ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকার পর্যটকেরা এখন পুজোর সময়ে দার্জিলিং-সিকিমে বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ শুরু করেছেন। তাতে লক্ষ্মীপুজোর পরেও প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড় থাকবে বলে আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এটোয়ার সভাপতি দেবাশিস মৈত্র বলেন, ‘‘সাধারণত লক্ষ্মীপুজো অবধি পুজোর মরসুম ধরা হয়ে থাকে। এ বার ওই সময়ে পাহাড়-ডুয়ার্সে কোথাও প্রায় ফাঁকা নেই। কেরলে দুর্যোগের পরে বাড়তি বুকিংয়ের ঢেউ আসছে। তাতে মনে হচ্ছে, পুজোর মরসুমটা দীর্ঘায়িত হবে। কালীপুজোর পরেও এক সপ্তাহ ভিড় থাকতে পারে।’’
দার্জিলিংয়ের ট্যুর অপারেটর প্রদীপ লামা কিংবা সিকিমের দাভেন গ্যালসেনরা অন্য হিসেব কষছেন। তাঁরা গত বছর পাহাড়ে গোলমালের সময়ে যে বিপুল অঙ্কের ক্ষতি হয়েছিল তা কতটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে সেটা ভাবছেন। দাভেন বললেন, ‘‘গত বছর টানা বন্ধের পরে পুজোর আগে দার্জিলিং খুললেও ভয় একটা ছিলই। এ বার সেটা কেটে গিয়েছে। পর্যটন মরসুমের সময়টা যদি একটু লম্বা হয়ে যায় তা হলে ক্ষতি অনেকটা কমবে।’’
ডুয়ার্সের পর্যটন ব্যবসায়ীরাও অতিরিক্ত পর্যটক আসবেন ধরে নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই কয়েকটি এলাকায় তাঁবু টাঙিয়ে উৎসাহী পর্যটকদের রাখার ব্যবস্থা করতে উদ্যোগীও হয়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। রাজ্য পর্যটন দফতরও পুজোর আগেই গজলডোবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন চাইছে। গজলডোবা লাগোয়া এলাকায় ‘হোম স্টে’ চালুর পরিকল্পনাও নিচ্ছে কয়েকটি সংস্থা। কেরল ঘুরতে না পেরে অনেকেই যে উত্তরবঙ্গে আসতে চাইছেন তা মেনে নিয়েছেন লাটাগুড়ি রিসর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সচিব দিব্যেন্দু দেব। তিনি বলেন, “আমরা ঘরের ব্যবস্থা করে দিতে পারব। রেল যদি বাড়তি পুজো স্পেশাল ট্রেন চালায় সেটা সকলের জন্য ভাল হবে।”
উত্তরবঙ্গের পর্যটন ব্যবসায়ীদের এক মুখপাত্র সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘২০১৭ সালে পর্যটন ব্যবসা ঠিকমতো হয়নি। বহু কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। তা সামাল দিতে সময় লাগবে। তবে এ বার বুকিংয়ের যা গতি দেখা যাচ্ছে, তাতে ১০০ শতাংশ জায়গাই ভর্তি থাকবে বলে মনে হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy