শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা ফেরার আগে উত্তরকন্যা ভবন ঘুরে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার। ছবি: সন্দীপ পাল।
এবার নেপাল ও বাংলাদেশ থেকে বাগডোগরা হয়ে বিমান চালানোর ব্যবস্থা করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানালেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বুধবার উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে রবীন্দ্রনাথবাবু মুখ্যমন্ত্রীকে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেছেন। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গের বাগডোগরা হয়ে প্রতিবেশী তিন দেশের মধ্যে বিমান চলাচলের ব্যবস্থা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছি। উনি পদক্ষেপ করবেন বলে জানিয়েছেন।’’
প্রতি সপ্তাহের চারদিন সোম, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শুক্রবার ভুটানের বিমানটি বাগডোগরা হয়ে পারো-ব্যাংককের মধ্যে যাতায়াত করছে। এ ছাড়াও ২০১৪ সালের অগস্ট মাসে পুজোর আগে একটি বিমান সংস্থা বাগডোগরা থেকে কাঠমান্ডু বিমান চলাচল শুরু করে। এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া সূত্রের খবর, আশানুরূপ যাত্রী না হওয়া, আন্তর্জাতিক বিমানের জন্য বিমানবন্দরের নাইট ল্যান্ডিং ব্যবস্থা না থাকা, ইত্যাদি নানা সমস্যার কথা বলে বিমানটি বন্ধ করা হয়।
আগামী তিনমাসের মধ্যে বাগডোগরায় আইএলএস পরিষেবা চালু হতে যাচ্ছে। সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ দিয়ে এশিয়ান হাইওয়ে ২ এবং ৪৮ আগামী বছর জুলাইয়ের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। তারপরেই চার দেশের মধ্যে যাত্রী পরিষেবা শুরু হবে। সেক্ষেত্রে বিমান পরিষেবা থাকলে শিল্প, বাণিজ্য এবং পর্যটনে এর প্রভাব পড়বে। এখনও বাংলাদেশ এবং নেপালে শিলিগুড়ি থেকে প্রতিদিন প্রচুর বাসিন্দা, পর্যটক সড়ক পথে যাতাযাত করে থাকেন।
এরই মধ্যে মালদহ ও বালুরঘাট বিমানবন্দর থেকে নিজেরাই বিমান চালানোর লক্ষ্যে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এআইআই) হাত থেকে দুই বিমানবন্দরের জমি ফেরৎ নিয়ে নিয়েছে রাজ্য সরকার। উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে পরিবহণ দফতরের সঙ্গে এএআই অফিসারদের মৌ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুসারে আগামী ৩০ বছরের জন্য ১ টাকার বিনিময়ে রানওয়ে-সহ বিমানবন্দরের সমস্ত জমি রাজ্যের হাতে থাকবে।
সরকারি সূত্রের খবর, প্রায় দু’দশক আগে ওই দুই বিমানবন্দরের জমি এএআই-র হাতে তুলে দিয়েছিল সরকার। বিমানবন্দর দু’টির পরিকাঠামো থেকে রানওয়ে সবই তৈরি হয়। কিন্তু একাধিকবার বিমান চলাচলের চেষ্টা করা হলেও বিমান সংস্থাগুলি তাতে খুব একটা সাড়া দেয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy