গঙ্গারামপুরের কংগ্রেস বিধায়ক গৌতম দাস তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন ২৪ ঘণ্টা আগে। তারপরেই পাল্টা চালে তৃণমূলের ঘর ভাঙল কংগ্রেস। মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মণ্ডল কংগ্রেসে যোগ দিলেন। এ দিনই বিপ্লববাবুকে কুমারগঞ্জ ব্লকের জেলাপরিষদের ৬ নম্বর আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী ঘোষণা করে মনোননয়ন দাখিল করা হয়েছে।
সম্প্রতি এই জেলায় আইএনটিটিইউসির জেলা কমিটি ভেঙে দেন রাজ্য নেতৃত্ব। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কাজে লাগিয়েই দল ভাঙতে কংগ্রেস সফল হল বলে মনে করা হচ্ছে। এ দিন বালুরঘাটের জেলা কংগ্রেসভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিপ্লববাবুর হাতে দলীয় পতাকা হাতে তুলে দেন জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায় বলেন, ‘‘তৃণমূল আমাদের একটি উইকেট নিয়েছে। আমরাও পাল্টা নিলাম।’’ পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের আরও কিছু উইকেট তুলে নেওয়া হবে বলে নীলাঞ্জনের দাবি। বিপ্লব মণ্ডল বলেন, ‘‘তৃণমূলে থেকে শ্রমিক স্বার্থে কোনও কাজ করতে পারছিলাম না।’’ তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি বলে স্বীকার করে বিপ্লব মণ্ডলের দাবি, ‘‘বিপ্লববাবুর সঙ্গে কোনও বিরোধ নেই। শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি থেকে ন্যুনতম সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাধার কারণে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি।’’
কুমারগঞ্জ ব্লকের গোপালগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা বিপ্লব মণ্ডল। ২০১১ সালে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে রাজনীতিতে তাঁর উত্থান। জেলা শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি হতে বেশি দেরি হয়নি তাঁর। তবে রাজ্য আইএনটিটিইউসিতে দুই গোষ্ঠীর কাজিয়ার অভিযোগে সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলের ওই শ্রমিক সংগঠনের জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। দলসূত্রের খবর, তারপর থেকে দলের সঙ্গে শ্রমিক নেতা বিপ্লববাবুর দূরত্ব তৈরি হয়েছিল।
তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘‘ওর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম অভিযোগ আসছিল। ফেসবুকেও দলবিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগ ছিল। দলবদলের বিষয়টি ওর ব্যক্তিগত ব্যাপার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy