Advertisement
১১ মে ২০২৪
Lockdown in West Bengal

যাত্রী কম, আপাতত বন্ধ কয়েকটি বিমান

গুজরাতের আমদাবাদ ও তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের সঙ্গে বাগডোগরার সরাসরি উড়ান বন্ধ করে দিল সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২০ ০৬:৪৬
Share: Save:

একটি জায়গার সঙ্গে যোগাযোগ মূলত ব্যবসায়িক। আর একটি শহরে লোকজন যান প্রধানত চিকিৎসার জন্য। এ বারে বাগডোগরা থেকে উড়ান চালু হওয়ার সাত দিনের মধ্যে সেই দুই শহর, গুজরাতের আমদাবাদ ও তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের সঙ্গে বাগডোগরার সরাসরি উড়ান বন্ধ করে দিল সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি। কারণ, কমে যাচ্ছে যাত্রী সংখ্যা। একই ভাবে হায়দরাবাদ, গুয়াহাটির সরাসরি বিমানও আপাতত বন্ধ।

লকডাউনের জেরে উত্তরবঙ্গের বহু মানুষ চেন্নাইয়ে আটকে পড়েছিলেন। এঁদের অনেকেই চিকিৎসার জন্য তামিলনাড়ু গিয়েছিলেন। এপ্রিলে তাঁদের অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো পোস্ট করে ঘরে ফেরার আর্তি জানান। ২৮ মে বাগডোগরা থেকে বিমান পরিষেবা শুরু হতে তাঁদের অনেকে ফিরেও আসেন। বিমান সংস্থাগুলি জানায়, কিন্তু উল্টো দিকে যে পরিমাণ যাত্রী যাওয়ার কথা, তা হচ্ছিল না। গত কয়েক দিনে এই সংখ্যা দ্রুত কমছিল। তাই আপাতত বন্ধ এই শহরের সঙ্গে সরাসরি বিমান যোগাযোগ।

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, দেশের সংক্রমিত রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে তামিলনাড়ু, গুজরাতের মতো রাজ্যগুলি। খুব জরুরি দরকার ছাড়া ওই রাজ্যগুলিতে সে ভাবে কেউ যাচ্ছেন না। আবার অসমের দিকে করোনা সংক্রমণ তুলনামূলকভাবে কম হলেও সে রাজ্য থেকে বাইরে কম লোকজন আসছেন। বিমান পরিষেবা চালু হতেই যাঁরা ওই সমস্ত রাজ্যে আটকে ছিলেন বা যাঁদের চাকরি এবং অন্য কারণে রাজ্যগুলিতে ফেরার প্রয়োজন ছিল, তাঁরা টিকিটের জন্য ভিড় করেছিলেন। এই চাহিদা ৩১ মে পর্যন্ত চলে। তার পরেই টিকিটের চাহিদা একেবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকে।

বাগডোগরা বিমানবন্দরের অধিকর্তা সুব্রমণী পি বলেন, ‘‘লকডাউনের আগে বাগডোগরা থেকে রোজ ৩৬ জোড়া বিমান চলছিল। সেটা এখন রোজ ৮-১০টি বিমানে নেমে এসেছে। চেন্নাইয়ের মতো কিছু গন্তব্যে সরাসরি বিমান বন্ধ হল। আশা করি, ধাপে ধাপে সেগুলি চালু হবে।’’

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, লকডাউন চলাকালীন সমীক্ষা করে বিমান সংস্থাগুলি দেখেছে, উত্তরবঙ্গের একটা বড় অংশের মানুষ চিকিৎসার জন্য চেন্নাই যান। এ ছাড়া ম্যানেজমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করেন। তেমনই, কলকাতার পরে দিল্লি, বেঙ্গালুরু এবং মুম্বইয়ে নিয়মিত উত্তরবঙ্গের লোকজন যাতায়াত করেন। বিশেষ করে, ব্যবসায়ীদের বড় অংশ দিল্লিতে নিয়মিত যাতায়াত করেন।

বিমানবন্দর আধিকারিকদের একাংশ জানান, ৩১ মে চেন্নাই থেকে বাগডোগরা এসেছেন ১৮৮ জন। আর চেন্নাই গিয়েছেন মাত্র ১৪ জন। সেখানে দিল্লি, বেঙ্গালুরুর বিমানগুলিতে যাত্রী সংখ্যা বেশি। তখনই ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যায়। টিকিটের চাহিদা কম থাকলে বেঙ্গালুরু বা মুম্বইয়েও বিমান বন্ধ হতে পারে। জুনের শেষে অবস্থা বদলালে বিমানের সংখ্যা বাড়তে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lockdown in West Bengal Bagdogra Airport
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE