প্রতীকী ছবি।
ভোট কাছে এলেও সমস্যা পিছু ছাড়ছে না আলিপুরদুয়ার জেলার বিজেপি শিবিরের।
প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে টালবাহানার জেরে এমনিতে প্রচার অনেক দেরিতে শুরু হয়েছে। একই কারণে এ বার জনসভাতেও ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে গেরুয়া শিবিরে। কী ভাবে? হাতে সময় কম থাকায় অপেক্ষাকৃত বড় জনসভাগুলির সংখ্যা অর্ধেক কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপির জেলা নেতারা। যা নিয়ে এর মধ্যেই ক্ষোভ দানা বাঁধতে দলের নিচুতলায়।
আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে এ বারে ভাল করার আশায় অনেক আগে থেকেই ভোট-ময়দানে নামতে চেয়েছিলেন দলের নেতা-কর্মীরা। তাই পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকেই সংগঠনকে আরও মজবুত করতে উঠে-পড়ে লাগেন তাঁরা। দুর্বল বুথ কমিটিগুলির শক্তি বাড়াতে দলের জেলা নেতাদের নির্দেশ দেন রাজ্য নেতারা। সেই মতো জেলা নেতারা কাজেও নেমে পড়েন৷ কিন্তু প্রার্থী ঘোষণায় দেরি জেলার বিজেপি নেতাদের লোকসভা ভোট প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অনেক অঙ্কই কিছুটা হলেও গুলিয়ে দিয়েছে, মানছেন দলের লোকেরাই।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আগামী ১১ এপ্রিল আলিপুরদুয়ার আসনে ভোটগ্রহণ। গত ১০ মার্চ এই দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তার দু’দিন পরে নিজেদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে ময়দানে নেমে পড়ে তৃণমূল। কিন্তু এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে তার পরও আরও ন’দিন সময় লেগে যায়। এখন স্থানীয় বিজেপি নেতারা মেনে নিচ্ছেন, শুরুতেই বেশ কিছুটা সময় চলে গিয়েছে প্রার্থীর অভাবে। এখন তা কী ভাবে পূরণ করা হবে, সেটা নিয়েই চিন্তাভাবনা চলছে।
বিজেপি সূত্রের খবর, বড় জনসভা করার ক্ষেত্রেও সব থেকে বেশি ভাবছে দল। নির্বাচন ঘোষণার পরও আলিপুরদুয়ারের বিজেপি নেতারা জানিয়েছিলেন, ভোটের আগে এই লোকসভা কেন্দ্রের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে একটি করে অপেক্ষাকৃত বড় জনসভা করবেন তাঁরা। পাশাপাশি, লোকসভা কেন্দ্রে একটি বড় জনসভা হবে। কিন্তু হাতে সময় কম থাকায় বিধানসভাভিত্তিক জনসভার সংখ্যা অর্ধেক কমিয়ে ফেলতে বাধ্য হচ্ছে দল, বলছেন স্থানীয় নেতারাই।
বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা জানিয়েছেন, “প্রতি বিধানসভায় নয়, বরং দু’টি করে বিধানসভা কেন্দ্র ধরে একটি জনসভা করা হবে। তবে এখনও দিন ঠিক না হলেও লোকসভাভিত্তিক বড় জনসভাটি হবেই।”
বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলার নেতারা জানিয়েছেন, আগামী সোমবার, মনোনয়ন জমার শেষ দিন নিজের মনোনয়নপত্র পেশ করবেন দলের প্রার্থী জন বার্লা। তার পর ২৮ মার্চ নাগাদ কুমারগ্রাম ও তুফানগঞ্জ বিধানসভাকে নিয়ে প্রথম জনসভাটি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। সেই সভায় দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের থাকার কথা রয়েছে বলেও দলের নেতারা জানিয়েছেন। তবে বিধানসভাভিত্তিক বাকি জনসভাগুলি কবে কোথায় হবে, তা এখনও ঠিক করতে পারেননি বিজেপির জেলা নেতারা। তাতে উদ্বেগে পড়ছেন কর্মীরা। তাঁদের কারও কারও কথায়, ‘‘সময় তো চলে যাচ্ছে। এখন সভা শুরু না হলে, হয়তো জমি আরও হারাতে হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy