জন বার্লা। —ফাইল চিত্র
প্রকাশ্যে কেউ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন না ঠিকই। কিন্তু প্রার্থী হিসাবে জন বার্লার নাম ঘোষণা হতেই ক্ষোভ দানা বাঁধল আলিপুরদুয়ার বিজেপির অন্দরেও। প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে রীতিমতো ক্ষুব্ধ দলের একটা বড় অংশ। ঘনিষ্ঠ মহলে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেছেন তাঁরা। যাঁদের অনেকেরই অভিযোগ, আলিপুরদুয়ার আসনটিকে তৃণমূলকে ‘উপহার’ দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যদিও জেলা বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের আশা, জন জিতে কেন্দ্রে মন্ত্রীও হবেন।
আলিপুরদুয়ার জেলাকে বরাবরই উত্তরবঙ্গে নিজেদের শক্ত ঘাঁটি বলে দাবি করে বিজেপি। এই অবস্থায় লোকসভা ভোটেও মনোজ টিগ্গা, বীরেন্দ্র ওরাওঁয়ের নাম উঠে আসে। উঠে এসেছিল দলের চা শ্রমিক নেতা বলে পরিচিত জন বার্লা কিংবা কুমাগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ ওরাওঁয়ের নামও। ২০১৭ সালের শেষের দিকে আরএসপি থেকে বিজেপিতে যোগ দেন মনোজ। তার কয়েক মাসের মধ্যেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে কুমারগ্রামে কার্যত ধরাশায়ী হতে হয় তৃণমূলকে।
তবে বিজেপি সূত্রের খবর, একদা আদিবাসী বিকাশ পরিষদের নেতা জন বার্লা চা শ্রমিকদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত মুখ। বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, “জন যোগ্য বলেই তাঁকে প্রার্থী করেছে দল৷ সারা বছর নিচু তলার নেতা-কর্মীদের নিয়ে কাজ করেন তিনি।”
তবে দলের কিছু নেতাদের মতে, জন বানারহাটের বাসিন্দা৷ যা আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রের হলেও, জলপাইগুড়িতে পড়ছে। আলিপুরদুয়ারের বাসিন্দা হিসাবে মনোজ টিগ্গা, মনোজ ওরাওঁ কিংবা বীরেন্দ্র ওরাওঁ মানুষের কাছে বেশি গ্রহনযোগ্য হতেন। তা ছাড়া মনোজ টিগ্গাও চা শ্রমিক নেতা বলে পরিচিত। যদিও এই তিন নেতা প্রার্থী নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। জনের দাবি, “আমাকে প্রার্থী করা নিয়ে দলে ক্ষোভ নেই। দলের সব নেতারাই ফোন করে আমায় অভিনন্দন জানাচ্ছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy