Advertisement
১১ মে ২০২৪

ভোট চাইতে ভিক্ষুকদের কাছে বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী!

মঙ্গলবার সকালে ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর আগে বালুরঘাটের বুড়াকালী মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার।

আশীর্বাদ: মন্দির চত্বরে সুকান্ত মজুমদার। নিজস্ব চিত্র

আশীর্বাদ: মন্দির চত্বরে সুকান্ত মজুমদার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৯ ০৩:০২
Share: Save:

ভোট প্রচারে কেউ গেলেন বাউল গানের আসরে, কেউ আবার ভোট চাইলেন মন্দিরের বাইরে ভিক্ষুকদের কাছে।

মঙ্গলবার সকালে ভোটের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরুর আগে বালুরঘাটের বুড়াকালী মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। আর পুজো দেওয়ার পরে সবার প্রথমে ওই চত্বরে ভিক্ষুকদের কাছে গিয়ে ভোট চাইলেন তিনি। দলের সূত্রে জানা গেল, সমাজের সব স্তরের মানুষের ভোট পেতে বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থীর এটি নয়া কৌশল।

গত কয়েকদিন ধরে কর্মিবৈঠকের পরে এ দিনই প্রথম সরাসরি ভোটারদের কাছে গিয়ে প্রচার করেন বিজেপির এই প্রার্থী। বুড়াকালী মন্দিরে পুজো দেওয়ার পরে সোজা চলে যান ওই চত্বরে থাকা শ’খানেক ভিক্ষুকদের কাছে। তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন তিনি। বিজেপির প্রার্থী হিসেবে তাঁকে ভোট দিতে আবেদনও করেন। আশ্বাস দেন, নির্বাচিত হলে ফুটপাথবাসী থেকে এলাকার ভিক্ষুকদের পাশে দাঁড়াবেন। সেখান থেকে আবার মন্দির লাগোয়া দোকানি ও পথচলতি মানুষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁদের কাছেও ভোটের প্রচার করেন। সেখান থেকে চকরাম এলাকায় গিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে নিহত কিশোর চুরকা মুর্মুর স্মৃতিস্তম্ভে মালা দেন। বালুরঘাটের সীমান্ত গ্রাম ডাঙ্গিতে ১৯৪২ সালের আন্দোলনের শহিদ স্মারক স্তম্ভেও মাল্যদান করেন। সুকান্তর সঙ্গে ছিলেন দলের রাজ্য কমিটির সদস্য গৌতম চক্রবর্তী ও অন্য জেলা নেতারা।

বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার জানান, এ দিন থেকে ভোট প্রচার শুরু করলেন তিনি। তাই শুভ কাজ শুরুর আগে মন্দিরে পুজো দিয়ে আশীর্বাদ নিতে যান। বললেন, ‘‘গুরুত্বপূর্ণ এই ভোটে ভিক্ষাবৃত্তিতে যুক্ত মানুষদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাই তাঁদের কাছেও ভোট প্রার্থনা করেছি।’’

এ দিকে, সোমবার ভোট প্রচারে গিয়ে গঙ্গারামপুরের ঠেঙ্গাপাড়ায় হরিবাসর এবং বাউল গানের আসরে সামিল হন বালুরঘাটের তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষ। হরিবাসরের অনুষ্ঠানে দর্শকের ভূমিকাতেই দেখা যায় তাঁকে। গান শুনতে সকলের মাঝে বসে পড়েন তিনি। গানের ছন্দে তাল দিতেও দেখা যায় তাঁকে। বিদায়ী সাংসদ তথা প্রার্থীকে নিজেদের মধ্যে এ ভাবে পেয়ে খুশি আয়োজক সংস্থা থেকে উপস্থিত বাসিন্দারাও। তবে শুধু অর্পিতাই নয়, বিজেপি সূত্রে জানা গেল, বালুরঘাট এবং গঙ্গারামপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারে গিয়ে তিনি হরিবাসর ও নাম সংকীর্তনের অনুষ্ঠানগুলিতে সামিল হবেন।

আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

দলীয় কর্মীদের কথায়, এতে রথ দেখার পাশাপাশি কলা বেচাও হচ্ছে। ভোট প্রচারে এলাকায় গিয়ে লোক জমায়েতের জন্য ছোটাছুটি নেই। অনুষ্ঠানগুলিতে গিয়ে এক জায়গায়, একসঙ্গে গোটা এলাকার মানুষকে পাওয়া যাচ্ছে। ফলে জনসংযোগও হচ্ছে। তাই ভোট প্রচারের এমন সুযোগ হাতে পেয়ে পায়ে ঠেলছেন না কেউই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE