ইংরেজবাজারে রামনবমীর মিছিলে শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র
প্রার্থীর উপস্থিতিতেই রামনবমীর মিছিলে অস্ত্র নিয়ে সমর্থকদের একাংশকে দেখা গেল ইসলামপুরে। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী ছাড়াও রবিবার ওই মিছিলে ছিলেন বিজেপি-র সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। নিষিদ্ধ থাকলেও শোভাযাত্রায় যুবকদের কয়েক জনের হাতে অস্ত্র থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারও হাতে ছিল তলোয়ার, কারও হাতে ছুরি। তবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ইসলামপুরের সম্পাদক চন্দন শেঠের দাবি, ‘‘মিছিলে কোনও অস্ত্র ছিল না।’’
এ দিন সকাল থেকে তৃণমূলের প্রার্থী কানাইয়ালাল আগারওয়াল ছিলেন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নিজের দলীয় কার্যালয়ে। শোভাযাত্রা আসতেই মিছিলের অনেকের সঙ্গে হাত মেলান তিনি। কানাইয়ালাল জানান, প্রতিবার এখানে দাঁড়িয়েই মিছিলে উৎসাহ দেন তিনি। এ বারও ব্যতিক্রম হয়নি।
মালদহে ইংরেজবাজার শহরেও এ দিন বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, বিজেপি নেতাদের রামনবমীর মিছিলে দেখা গিয়েছে। গেরুয়া শাড়ি, মাথায় কাপড় বেঁধে পুরো শহর পরিক্রমা করেন শ্রীরূপা। তবে এ দিনের মিছিলে অস্ত্র ব্যবহার হয়নি বলে দাবি উদ্যোক্তাদের। অতুল মার্কেট থেকে মিছিলটি বের হয়ে মকদমপুর থেকে গৌড় রোড হয়ে পুরো শহর পরিক্রমা করে। গানের তালে তালে হাত নেড়ে ঘুরেছেন দক্ষিণ মালদহের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা। রামনবমীর মিছিল হয়েছে বুনিয়াদপুর এবং বালুরঘাটেও। বালুরঘাটে মিছিলে অস্ত্র ছিল না।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ইসলামপুরে রামনবমীর মিছিলে কানাইয়ালাল। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, “বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে। সংগঠন না বাড়িয়ে ধর্মের হাওয়া তুলে ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছে বিজেপি। তবে তাদের সেই আশা পুরণ হবে না।” শ্রীরুপা বলেন, “আমি সব ধর্মের অনুষ্ঠানে সামিল হই। আর ধর্ম নিয়ে রাজনীতি আমরা নয়, তৃণমূল করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy