শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
রায়গঞ্জে নিজেদের জয় সুনিশ্চিত করতে কর্মিসভার মাধ্যমে প্রচার শুরু করলেন উত্তর দিনাজপুরের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। শনিবার চাকুলিয়ার কানকি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ময়দানে শুভেন্দুর সভায় ছিলেন জেলার বিধায়ক-মন্ত্রী এবং জেলা পরিষদের সভাধিপতিরা। ছিলেন পুরপ্রধান ও পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরাও।
এ দিন শুভেন্দু দলে কোনও বিরোধ না রেখে সকলকে এক সঙ্গে চলার বার্তা দিয়েছেন। এখন থেকেই নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি মেনে প্রচারের দেওয়াল দখল নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘‘এখন পরীক্ষার সময়। তাই বড় সভা করা যাবে না। তাই বাছাই কর্মী-নেতাদের ডাকা হয়েছে।’’ আগামী ১৩ মার্চ থেকে বুথস্তর থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘‘গত লোকসভা ভোটে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের স্থান ছিল তৃতীয়। ভোট পেয়েছিলাম ২০ শতাংশ। আবার ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটে তৃণমূল পেয়েছিল ৪০ শতাংশ। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে চারটি পুরসভা বাদ দিয়ে তৃণমূল পেয়েছে ৫১ শতাংশ। বিরোধীদের কুৎসা অপ্রচার সত্ত্বেও মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে। এবার এই লোকসভা আসন জিততে হবে বেশি মার্জিনেই।’’ পাশাপাশি, তিনি কর্মীদের রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচারে তুলে ধরার কথা বলেন।
তাঁর বক্তব্য, বিজেপি এবং আরএসএস বিষ ছড়াচ্ছে। এই বিষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তৃণমূলকে জেতানোর আহ্বান করেন তিনি। পরিবহণমন্ত্রী এ দিন দাড়িভিট প্রসঙ্গ টেনে কী ভাবে বিজেপি এবং আরএসএস বিষ ছড়িয়ে দিয়েছিল, তার উল্লেখ করেন। তাঁর বার্তা, দাড়িভিট এলাকা থেকেই লোকসভা ভোটে তিন হাজার ভোট লিড পাবে তৃণমূল। শুভেন্দু বিরোধী দলগুলির গতিবিধির উপর নজর রাখারও নির্দেশ দেন। তাঁর যুক্তি, ভোটের আগে বিরোধীরা গন্ডগোল বাধাতে পারে। কোনও প্ররোচনায় ফাদে না পড়ার নির্দেশও দেন তিনি।
এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘তৃণমূলের প্রার্থী যে-ই হোন না কেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী। দলে কোনওরকম বিরোধ বা দ্বন্দ্ব চলবে না।’’ একই সঙ্গে তিনি সিপিএমের রায়গঞ্জের সাংসদ মহম্মদ সেলিমের নাম উল্লেখ না করে জানান, পাঁচ বছরে কোনও কাজ না করে এখন একজন ভোটের সময় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy