যিনি মিথ্যে বলছেন, তাঁকে হামাগুড়ি দিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে—সোমবার কোচবিহার রাসমেলার মাঠে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে উদ্দেশ্যে করে এমনই চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার কোচবিহারে সভা করেন মোদী। সেই মঞ্চ থেকে তিনি অভিযোগ করেন, কোচবিহারে কোনও উন্নয়ন করেননি মুখ্যমন্ত্রী। এ দিন সেই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, “আমি যদি মিথ্যে কথা বলি এইখানে নির্বাচনের পরে আর একটা সভা হবে, আগেও হতে পারে। আমি যদি মিথ্যা কথা কই আমি জনগণের সামনে হামাগুড়ি দিয়ে ক্ষমা চাইব। তুমি যদি মিথ্যে কথা কও তোমারেও হামাগুড়ি দিয়া ক্ষমা চাইতে হবে।’’
রবিবার রাসমেলার মাঠে নরেন্দ্র মোদী অভিযোগ করেন, সুযোগ থাকলেও পর্যটনে কোনও উন্নয়ন হয়নি। রেলের যতটুকু উন্নয়ন হয়েছে, তা মোদী সরকার করেছেন। মোদী দাবি করেন, মমতা রেলমন্ত্রী থাকার সময় কিছু করেননি।
মমতা এ দিন সেই চ্যালেঞ্জ স্বীকার করে তার উত্তর দেন। তিনি বলেন, “আমি নাকি রেল মিনিস্টার থাকার সময় কিছু করি নাই। আপনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কী করছেন? জিজ্ঞেস করুন। জিজ্ঞেস করুন চ্যাংরাবান্ধা-মালবাজার কে করেছিল, আপনি করেছিলেন? ময়নাগুড়ি-যোগীঘোপা লাইন কে দিছিল? জলপাইগুড়ি থেকে অসম কামাখ্যা পর্যন্ত কে করেছিল?” মমতা বলেন, “জলপাইগুড়ি থেকে শিলিগুড়ি প্যাসেঞ্জার ট্রেন কে দিয়েছিল? নিউ জলপাইগুড়ি, দিনহাটা বামনহাট প্যাসেঞ্জার ট্রেন কে দিয়েছিল? মালদহ টাউন-কোচবিহার ডেমু কে দিয়েছিল?’’ নিউ কোচবিহার গোলকগঞ্জ লাইন, কোচবিহার মিউজিয়াম, আদর্শ স্টেশন, নিউ কোচবিহার কামাখ্যা ইন্টারসিটির কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যারা আজকে ভাষণ দিচ্ছেন, দিল্লি থেকে ছুটে আসছেন। তাদের জিজ্ঞেস করুন কমরেড একটা হেরিটেজ টাউন করতে পেরেছেন কোচবিহারকে? কোচবিহার তো হেরিটেজ টাউন, অনেক পুরোনো শহর। হেরিটেজ টাউন কে করছে? তৃণমূল করছে। রাজবংশীদের নেতা পঞ্চানন বর্মা আমাদের সবার নেতা। তাঁর নামে একটা স্কুল করেছিলেন? আমরা তো বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। তৃণমূল করে, বলে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy