এখন হলদিবাড়ি, জলপাইগুড়ি, এনজেপি হয়ে শিয়ালদহ যেতে রেলপথে তার চেয়ে অনেক বেশি পথ পাড়ি দিতে হয়।
বাংলাদেশের চিলাহাটি হয়ে জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতা যাওয়ার রেল যোগাযোগ ফের চালুর দাবি বারবার করে এসেছেন বাসিন্দারা। ওই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হলে অনেকটাই কমে যাবে জলপাইগুড়ি আর কলকাতার দূরত্ব। সময়েই লাগবে অনেকটা কম। এ বার লোকসভা ভোটে ডান থেকে বাম নানা দলের প্রচারেও উঠে আসছে সেই প্রসঙ্গ।
হলদিবাড়ি স্টেশন থেকে চিলাহাটির দিকে যেতে বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার আগে পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার নবনির্মিত রেল লাইন রয়েছে। সেখানে ইঞ্জিন পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হলেও আজও রেল চলাচল কেন শুরু হয়নি তা নিয়ে ভোটের প্রচারে তরজা চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর। সিপিএমের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য বলেন, ‘‘এই দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলা হয়েছে বারবার। জলপাইগুড়ি জেলা বামফ্রন্টের তরফে একাধিকবার এই রেলপথ চালু করার দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, দলের প্রাক্তন সাংসদরা লোকসভায় বারবার এই রুট চালুর দাবিতে সরব হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘এখনও এই দাবি আদায়ে আমরা পথে আছি।’’
এই কেন্দ্রে গত লোকসভা ভোটে জয়লাভ করেছিল তৃণমূল। বিদায়ী সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মণ এ বার ফের দলের প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘সংসদে এই বিষয়ে আমি আলোচনা করার সুযোগ পাইনি। তবে আমরাও এই দাবিতে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছি।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
১৯৬৫ সালের পর এই রেলপথটি বন্ধ হয়ে যায়। ৫৩ বছরের বেশি সময় বন্ধ হয়ে থাকার পরে তা চালু করার কাজ শুরু হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। সেই রেশ ধরেই বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার এই রেলপথ চালু করতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আশা করছি দ্রুত এই রুটে রেল চলাচল শুরু হবে।’’
আগে যখন এই পথে ট্রেন চলত, তখন দার্জিলিং মেল শিলিগুড়ি জংশন থেকে ছেড়ে জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন হয়ে হলদিবাড়ি ছুঁত। তারপরে বাংলাদেশের নেলফামারি জেলার সীমান্তবর্তী স্টেশন চিলাহাটি হয়ে ডোমার, পার্বতীপুর দিয়ে বেনাপোল সীমান্ত হয়ে শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছত।
এখন হলদিবাড়ি, জলপাইগুড়ি, এনজেপি হয়ে শিয়ালদহ যেতে রেলপথে তার চেয়ে অনেক বেশি পথ পাড়ি দিতে হয়। জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন থেকে হলদিবাড়ি হয়ে চিলাহাটি পর্যন্ত রেলপথের দৈর্ঘ্য ১১.৩৪ কিলোমিটার। যার ভারতের অংশে ২.৭৫ কিলোমিটার রয়েছে এবং বাংলাদেশের অংশে রয়েছে ৭.৫০ কিলোমিটার। ইতিমধ্যে ঢাকা এবং রাজশাহী থেকে নেলফামারি জেলার চিলাহাটি পর্যন্ত রেল চলাচল চালু রয়েছে।
হলদিবাড়ি থেকে বাংলাদেশের কাঁটাতারের বেড়ার আগে পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার রেলপথ ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। এখান থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত আরও ১ কিলোমিটার রেলপথ শীঘ্রই তৈরি হয়ে যাবে বলে দফতরের আশ্বাস। হলদিবাড়ি থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত রেলপথ সও হলদিবাড়ি স্টেশনের পরিকাঠামোর উন্নয়নে ৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy