গুলিবিদ্ধ: চিকিৎসাধীন হোসেন শেখ। নিজস্ব চিত্র
শুক্রবার ভর দুপুরে পারিবারিক বিবাদের জেরে চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক যুবকও। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের বৈষ্ণবনগর থানার পারদেওনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোড়ল পাড়া গ্রামে। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ যুবক হোসেন শেখ ভর্তি রয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এ দিনই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই ফেরার রয়েছে অভিযুক্তেরা। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
চার বছর আগে নেজানুর শেখের সঙ্গে বিয়ে হয় গ্রামেরই মির্জা বিবির। তাঁদের দুই ছেলে-মেয়ে রয়েছে। সম্প্রতি, নেজানুর শ্বশুরবাড়ি থেকে খাট এবং আলমারি দাবি করেন। শ্বশুর বাড়ির লোকেরা দাবি মতো খাট এবং আলমারিও দেন। তবে ব্যবহারের কিছু দিনের মধ্যেই ভেঙে যায় খাট এবং আলমারি। আর তাতেই শুরু হয় গোলমাল। খাট এবং আলমারি ভেঙে যাওয়ায় নেজানুর মির্জাকে গালাগালি দেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, এরপর থেকেই নেজানুরের সঙ্গে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেদের গোলমাল শুরু হয়।
এদিন সকালে ফের গোলমাল বাধে দুই পরিবারের সঙ্গে। মির্জাকে বাড়ি নিয়ে চলে যান তাঁর বাবা। এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ তাঁর বাবা দলবল নিয়ে নেজানুরের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় চার থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলিও চালানো হয় বলে দাবি। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হন নেজানুরের ভাই হোসেন শেখ। গ্রামবাসীরা ছুটে গেলে অভিযুক্তেরা পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় হোসেনকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে। সেখান থেকে চিকিৎসকেরা সঙ্গে সঙ্গে রেফার করে দেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হোসেনের পেটে গুলি লেগেছে। রাতে অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হয়েছে।
নেজানুর বলেন, “খাট এবং আলমারি কিছু দিনের মধ্যে ভেঙে যায়। এই বিষয়টি শ্বশুরবাড়িতে জানানো হয়েছিল। আর তাতেই আমাদের বাড়িতে চড়াও হয়ে গুলি চালানো হয়। পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে।” অভিযুক্তদের আত্মীয়দের দাবি, মিথ্যা নালিশ করা হচ্ছে তাঁদের বিরুদ্ধে। তবে পারিবারিক বিবাদে গুলি চলায় আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক সরকার বলেন, “তদন্ত শুরু হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy