নতুন ঠিকানা। নিজস্ব চিত্র
জেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র কদমতলা মোড়ের কাছে বাড়ি ছিল। সেটি ছেড়ে জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ উঠে গেলেন শহর থেকে খানিক দূরে পাঁচ কামরার বাড়িতে। আগের বাড়িটিও ভাড়া ছিল, নতুন বাড়িটিও ভাড়া নেওয়া। কদমতলা মোড় লাগোয়া পাহাড়িপাড়া থেকে ঠিকানা বদলে সাংসদ চিকিৎসক জয়ন্ত রায় এখন অসম মোড়ের বাসিন্দা। তিনি জানিয়েছেন, জায়গার জন্যই ঠিকানা বদল। নতুন বাড়িটি তুলনায় বড়। পাহাড়িপাড়ার বাড়িতে তিনটি ঘর ছিল। নতুন বাড়িতে পাঁচটি ঘর রয়েছে। যদিও বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, পুরনো বাড়িটি শহরের একেবার মাঝামাঝি হওয়ায় গোপনীয়তা বজায় থাকছিল না। ১ জুলাই নতুন বাড়িতে উঠেছেন সাংসদ। অসমমোড়ের যে এলাকায় বিজেপি সাংসদের নতুন ঠিকানা, সেটি বরাবরই বিকেলের পরেই সুনসান হয়ে পড়ে।
সাংসদের আদি বাড়ি লাটাগুড়িতে হলেও তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত থাকায় সেখানেই একটি ফ্ল্যাট নিয়েছিলেন। শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার সেই আবাসনই সাংসদের স্থায়ী ঠিকানা। গত লোকসভায় জলপাইগুড়ি থেকে ভোটে জেতার পরে সাংসদের জন্য জলপাইগুড়িতে ভাড়া বাড়ি খোঁজা শুরু হয়। সাংসদের ঘনিষ্ঠদের দাবি, করোনা পরিস্থিতির সময় জলপাইগুড়ির পাহাড়িপাড়ার বাড়িতে সাংসদকে ঘরবন্দি করে রাখা হয়েছিল। একটি গলি দিয়েই বাড়িতে ঢুকতে হয় বলে নজরদারিতে পুলিশের সুবিধে হতো। বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামীর অভিযোগ, “সাংসদের পুরনো বাড়িতে কে কখন ঢুকছে, বেরোচ্ছে পুলিশ দেখে রাখত।”
সাংসদের নতুন ঠিকানার পাশেই তৃণমূলের দাপুটে নেতা তথা বর্তমানে দলে ‘বিক্ষুব্ধ’ বলে পরিচিত নিতাই করের পার্টি অফিস। তাঁর পার্টি অফিস থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে বিজেপি সাংসদের বাড়ি ভাড়া খুঁজে পাওয়া নিয়ে দু’দলেই নানা চর্চা চলছে। সম্প্রতি তৃণমূলের সদর ব্লক সভাপতির পদ থেকে অপসারিত নিতাই বলেন, “শুনেছি বিজেপি সাংসদ অফিস করেছেন। আমি কিছু বলতে পারব না। অন্য দলের খোঁজ রাখি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy