Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

দুর্যোগেও ভোট পড়ল ৮৭ শতাংশ

এ দিন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের থিঙ্গুর প্রাথমিক স্কুলের ১৯ নম্বর বুথে শাসক দলের বিরুদ্ধে বুথ দখল করে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে নামে বাসিন্দারা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বুনিয়াদপুর শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৭ ০৩:৫৫
Share: Save:

দুর্যোগের মধ্যে রবিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে ভোট পড়ল ৮৭ শতাংশ। রবিবার সকাল থেকে ঝিরঝির বৃষ্টি মাথায় নিয়ে পুরসভার প্রথম ভোট দিতে বুথে লাইন দেন বাসিন্দারা। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি কমতে বেশ কিছু ওয়ার্ডে অশান্তি শুরু হয়। শেষ লগ্নে শাসক এবং বিরোধীদের মধ্যে সংঘর্ষে শেষ হয় ভোট পর্ব। শহরের পুরো ওয়ার্ডে তাদের কর্মী সমর্থকদের তাড়িয়ে দিয়ে বুথ দখল করে বুনিয়াদপুরে একতরফা ভোট হয়েছে বলে বিজেপি এবং সিপিএম একযোগে অভিযোগ করেছে। তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

এ দিন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের থিঙ্গুর প্রাথমিক স্কুলের ১৯ নম্বর বুথে শাসক দলের বিরুদ্ধে বুথ দখল করে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে নামে বাসিন্দারা।

পুরুষেরা তির ধনুক এবং মহিলারা ঝাঁটা নিয়ে রুখে দাঁড়ালে সংঘর্ষ বাধে। শাসক দলের জেলা নেতা বিশ্বনাথ পাহান সহ বিজেপি এবং তৃণমূলের ৮ কর্মী জখম হন। পুলিশ গিয়ে বিশ্বনাথবাবুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়। প্রায় এক ঘণ্টা সেখানে ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকার পর বিকেল সাড়ে ৪টা নাগাদ ফের ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার অভিযোগ করেন, এ দিন সকাল থেকে ২ নম্বর ওয়ার্ডের শেরপুর এবং বরাইল স্কুলের দুটি বুথ, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হাটপুকুরিয়া প্রাথমিক স্কুলের বুথ, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিবপুর বুথ, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সরাই স্কুলের দুটি, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের থিঙ্গুর বুথগুলিতে তৃণমূলকর্মীরা পুলিশের সামনে বুথ দখল করে। প্রতিবাদ করলে ২ নম্বর ওয়ার্ডের দলীয় প্রার্থী মৌসুমী মজুমদার এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী সুবোধ হাজরাকে বেধড়ক মারধর করা হয়।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র পাল্টা অভিযোগ করেন, বিজেপি এবং সিপিএম এক হয়ে মিলিতভাবে বুথে অশান্তি তৈরির চেষ্টা করে। তাতে মানুষ সাড়া দেননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE