Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
NIA

জালনোটে এনআইএর জালে কালিয়াচকের এক

এনআইএ সূত্রের খবর, ধৃত সাদিক মিঁয়া মালদহের কালিয়াচক থানার শ্মশানী এলাকার বাসিন্দা। একেবারে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এই গ্রামকে গোয়েন্দারা জালনোটের আঁতুরঘর বলে থাকেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০২০ ০৫:০৮
Share: Save:

উত্তরবঙ্গে জালনোটের তদন্তে নেমে আবার সাফল্য পেল এনআইএ। শিলিগুড়ির একটি মামলার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার রাতে মালদহের কালিয়াচক থেকে এনআইএ অফিসারেরা গ্রেফতার করেছেন সীমান্তের জালনোট চক্রের এক চাঁইকে। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে বিহার, মালদহ মিলিয়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করল এনআইএ। এ দিন ধৃতকে শিলিগুড়ি আদালতে তোলেন অফিসারেরা। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এনআইএ সূত্রের খবর, ধৃত সাদিক মিঁয়া মালদহের কালিয়াচক থানার শ্মশানী এলাকার বাসিন্দা। একেবারে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এই গ্রামকে গোয়েন্দারা জালনোটের আঁতুরঘর বলে থাকেন। সূত্রের খবর, কাঁটাতারের বেড়ার পাশে হওয়ায় প্যাকেটে করে জালনোট বিএসএফের চোখ এড়িয়ে এপাশে ছুড়ে ফেলা হয়। পরে তা ধাপে ধাপে কারবারির কাছে পৌঁছায়। সাদিক মিঁয়া এমনই একজন কারবারি বলে অফিসেরারা জানিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এক অফিসার জানান, বাংলাদেশ, উত্তরবঙ্গ, বিহার এবং নেপালকে কেন্দ্র করে এই কারবার চলছে। মালদহ, মুর্শিদাবাদ সীমান্ত দিয়ে বেশিরভাগ জালনোট ঢোকানো হচ্ছে। তা রাখা হচ্ছে বিহার এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে। শিলিগুড়ি দিয়ে নেপালেও জালনোট যাচ্ছে। সেখানে ভারতীয় টাকার ব্যবহার রয়েছে। তা ছাড়াও সুযোগ বুঝে নেপাল থেকেও জাল টাকা এপারে আসছে বলে তদন্তকারীদের দাবি।

গোয়েন্দারা জানান, গত জানুয়ারিতে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের হাতে শিলিগুড়ির বাগডোগরায় ধরা পড়ে মালদহের কারবারি গোলাম মর্তুজা এবং সাজাতুর রহমান। এর পরে মার্চে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এনআইএ-কে জালনোটের তদন্তভার দেয়। উত্তরবঙ্গের করিডর শিলিগুড়ির সঙ্গে বিহারকেও জালনোটের কারবারে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে গোয়েন্দারা তদন্তে নেমে জানান।

গত মার্চ থেকে পরপর অভিযান চলছে। ১৭ অগস্ট বিহারের কিসানগঞ্জের মহম্মদ আফতাব এবং মহম্মদ বৈতুল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত গোলাম মর্তুজার এজেন্ট হিসাবে দু’জন কাজ করছিল বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, মর্তুজা গোটা দেশের জালনোট চক্রের সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত বলে ধৃতেরা এনআইএ অফিসারদের জানিয়েছে। বিহারে পূর্ণিয়া এবং চম্পারনে চক্রের সদস্যরা রয়েছে। এরমধ্যে সাদিক মিঁয়ার নামও সামনে আসে।

জানুয়ারিতেই কলকাতা পুলি‌শের এসটিএফের হাতে সাড়ে ৮ লক্ষ টাকার জালনোট-সহ মালদহের তিনজন ধরা পড়ে। ধৃতের সঙ্গে এদের সম্পর্ক রয়েছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

NIA Police Siliguri Fake Note
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE