পঞ্চায়েত ভোটের ফল প্রকাশের পরে বিজেপির দাবি ছিল, উত্তরবঙ্গের চা বলয়ে তারা খাতা খুলেছে, প্রভাব বাড়ছে। ভোটের পরে ঠিক হয়েছিল দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহ উত্তরবঙ্গে আসবেন। তাঁকে দিয়েও চা বলয়ে সভা করানো হবে বলে স্থির করেছিল বিজেপি। তৃণমূলও পাল্টা সংগঠন ধরে রাখতে নেমে পড়ে। পঞ্চায়েত ফল প্রকাশের পর মাস খানেকের মধ্যেই এ দিন বিজেপির ডাকা বাংলা বন্ধের কোনও প্রভাবই পড়ল না উত্তরের চা বলয়ে। স্বাভাবিক কাজ হল উত্তরবঙ্গদেরর সব চা বাগানেই। যদিও বিজেপির কিছু নেতার দাবি, এ দিনের বন্ধের আওতা থেকে চা বাগানকে বাদ রাখা হয়েছিল৷ যে যুক্তি মানতে চাননি তৃণমূলের নেতারা৷
বিজেপির ডাকা বন্ধের প্রভাব এ দিন সকাল থেকেই পড়তে শুরু করেছিল আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন জায়গায়৷ অনেক জায়গাতেই দোকান-পাট বন্ধ থাকে৷ তবে স্বাভাবিক ছিল চা বাগানগুলি৷ চা বাগান মালিক সংগঠন টাই-এর সম্পাদক রাম অবতার শর্মা বলেন, এদিন আলিপুরদুয়ার জেলার সব বাগানেই স্বাভাবিক কাজ হয়েছে৷
যদিও মাদারিহাটের বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিজ্ঞা বলেন, এদিনের বন্ধের আওতা থেকে চা বাগানকে বাদ রাখা হয়েছিল৷ ফলে সেখানে বন্ধের প্রশ্নই নেই৷ যদিও বিজেপির আদিবাসী নেতা জন বার্লার দাবি, ‘‘চা বাগানে ভাল সাড়া পাওয়া গিয়েছে।’’ পুলিশ জোর করে শ্রমিকদের কাজে যেতে বাধ্য করছে বলে তাঁর অভিযোগ। চা বাগান তৃণমূল মজদুর ইউনিয়ানের সহ সভাপতি প্রভাত মুখোপাধ্যায়ের বলেন, ‘‘চা বাগানকে ছাড়া কখনো বাংলা বন্ধ হয় না৷ বিজেপি আসলে মুখ বাঁচাতে চাইছে।’’
এমনকি বিজেপির পঞ্চায়েতে ভাল ফল হয়েছে যে সব বাগানগুলিতে সেখানেও বন্ধে সাড়া মেলেনি। নাগরাকাটা, ওদলাবাড়িতে দোকান বন্ধ থাকলেও চা বাগান সচল ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy