Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

পার্থের দাওয়াই

অভিযোগ, নিজেদের মধ্যে কোন্দলের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তৃণমূলের একাধিক সংগঠন গড়ে উঠছে। তাদের মধ্যে বিবাদ কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্মেও সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ কাদের নিয়ে চলবেন তা নিয়ে নানা দ্বিধা দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে।

সমাবর্তন: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। নিজস্ব চিত্র

সমাবর্তন: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন অনুষ্ঠানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৭ ০২:২৫
Share: Save:

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তৃণমূলের একটি কর্মী সংগঠনই থাকবে বলে সাফ জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী তথা দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শুক্রবার এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

অভিযোগ, নিজেদের মধ্যে কোন্দলের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তৃণমূলের একাধিক সংগঠন গড়ে উঠছে। তাদের মধ্যে বিবাদ কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্মেও সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ কাদের নিয়ে চলবেন তা নিয়ে নানা দ্বিধা দ্বন্দ্ব তৈরি হচ্ছে। এ দিন মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় কোনও সংগঠনের নাম না-করে মন্ত্রী জানান, একটি বিশেষ দলের একাধিক কর্মী ইউনিয়ন রয়েছে।

তার জেরে যাতে কাজকর্মে কোনও সমস্যা না হয় তা দেখতে হবে। তিনি বলেন, ‘‘কর্মীদের কাছে অনুরোধ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে কোনও বাধা সৃষ্টি করবেন না। কোনও বিশেষ দলের একাধিক নয়, একটি ইউনিয়নই থাকবে। না হলে আমরা সরকারে রয়েছি। আমরা ব্যবস্থা নেব।’’ পরে দলের মহাসচিব হিসাবে নিজেই খোলসা করে জানান, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলের একাধিক ইউনিয়ন রয়েছে। তা চলবে না। একটি ইউনিয়নই থাকবে। না হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা বাংলা শিক্ষাবন্ধু সমিতির আহ্বায়ক গুরুচরণ রায়। বস্তুত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তাঁদের সংগঠন ছাড়াও তৃণমূলের অস্থায়ী শিক্ষাকর্মী অ্যাসোসিয়েশন এবং স্থায়ী শিক্ষাকর্মী সমিতি নামে আলাদা আরেকটি সংগঠন রয়েছে।

নানা বিষয়ে মতানৈক্য হওয়ায় গুরুচরণবাবুদের সংগঠন থেকে অনেকে বেরিয়ে ওই সংগঠনগুলোতে গিয়েছে। সম্প্রতি কর্মীদের দাবিদাওয়া নিয়ে তিনটি সংগঠন আলাদাভাবে আন্দোলনে নামে। কর্মসমিতির বৈঠকের সময় প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান আন্দোলনে সামিল হন তাঁরা। গুরুচরণবাবু বলেন, ‘‘আমরাও চাই একটি সংগঠন থাকুক।’’ স্থায়ী শিক্ষাকর্মী সমিতির সম্পাদক লালন চৌধুরী বলেন, ‘‘দল যেমন চাইবে, তেমনই হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Partha Chatterjee TMC Workers Association
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE