Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

নিকাশি-রাস্তা বেহাল, নালিশ প্রচারে আসা মন্ত্রীকে

একেই এলাকার রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি ভাল নয়। তারউপর সামান্য বৃষ্টিতেই নিকাশি উপচে রাস্তায় জল জমে গিয়েছে। ফলে চলাফেরা করাই দায়। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কয়লা ডিপো এলাকায় ওই পরিস্থিতির মধ্যে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবকে প্রচার করতে দেখে অনেকেই সমস্যার কথা তুলে ধরেন। মন্ত্রী অবশ্য বাসিন্দাদের নালিশে কোনও উত্তর দেননি। বরং হাত জোর করে তিনি সে সময় দলীয় প্রার্থীর হয়ে ভোট চাইতেই ব্যস্ত ছিলেন।

শিলিগুড়ি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বেহাল নিকাশী ব্যবস্থা, নর্দমার জল উপচে ভরে গিয়েছে রাস্তা, তার মাঝেই প্রচারে বেরিয়েছেন গৌতম দেব। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

শিলিগুড়ি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বেহাল নিকাশী ব্যবস্থা, নর্দমার জল উপচে ভরে গিয়েছে রাস্তা, তার মাঝেই প্রচারে বেরিয়েছেন গৌতম দেব। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০১৫ ০৩:০৯
Share: Save:

একেই এলাকার রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি ভাল নয়। তারউপর সামান্য বৃষ্টিতেই নিকাশি উপচে রাস্তায় জল জমে গিয়েছে। ফলে চলাফেরা করাই দায়। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কয়লা ডিপো এলাকায় ওই পরিস্থিতির মধ্যে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবকে প্রচার করতে দেখে অনেকেই সমস্যার কথা তুলে ধরেন। মন্ত্রী অবশ্য বাসিন্দাদের নালিশে কোনও উত্তর দেননি। বরং হাত জোর করে তিনি সে সময় দলীয় প্রার্থীর হয়ে ভোট চাইতেই ব্যস্ত ছিলেন। পরে মন্ত্রী বলেন, ‘‘সিপিএমের কাউন্সিলররা এলাকার উন্নয়নে কোনও ভূমিকা নেননি বলেই এই পরিস্থিতি।’’

ওই ওয়ার্ডে কয়লাডিপো এলাকা, ঘোষপাড়া, বিদ্যাসাগর রোড, বিদ্যাসাগরপল্লি এলাকায় রাস্তা এবং নিকাশির সমস্যা দীর্ঘদিনের। ভোটের মুখে তা নিয়ে টানাপড়েনও শুরু হয়ে গেছে। গত নির্বাচনে এই এলাকা থেকে জিতে কাউন্সিলর হয়েছিলেন সিপিএমের রমেশ প্রসাদ গুপ্তা। তৃণমূলের অভিযোগ তাঁর আমলে কোনও কাজ হয়নি। রমেশবাবুর পাল্টা দাবি, ‘‘কয়লাডিপো এলাকায় নিকাশি তৈরি করতে পুরমন্ত্রী থাকার সময় ১৬ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। তবুও কংগ্রেস-তৃণমূল জোটের পুরবোর্ড ওই কাজ করতে পারেনি। রাস্তার কাজের জন্যও পুরসভা পরিকল্পনা নিয়েছিল। অথচ কাজ হয়নি।’’এ বার এই সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন আরেক কাউন্সিলর নন্দেশ্বর প্রসাদ।

বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওযার্ডের বিভিন্ন গলির রাস্তাগুলি বেহাল হয়ে পড়েছে। বিদ্যাসাগর রোডের অবস্থাও খারাপ। কবে কাজ হবে জানতে চাইলেই বলা হয় টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। অথচ বাস্তবে কাজের কাজ হয় না। প্রাক্তন মেয়র তথা কংগ্রেস নেত্রী গঙ্গোত্রী দত্ত জানিয়েছেন, রমেশবাবু ওয়ার্ডের কাজের জন্য কোনও ভূমিকাই নিতেন না। তিনি বলেন, ‘‘অশোকবাবুর আমলে ওই ওয়ার্ডে নিকাশি তৈরির জন্য কোনও টাকা বরাদ্দ ছিল না। আমরা কিছু কাজ করার চেষ্টা করলেও কাউন্সিলর সহয়োগিতা করতেন না।’’ রমেশবাবু অবশ্য ওই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেস পুরবোর্ড এবং তৃণমূলের সঙ্গে যৌথ ভাবে বোর্ড চালানোর সময় গঙ্গোত্রী দেবী কোনও কাজ করতে পারেননি বলে এ সব বলছেন।’’

বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ভোট এলেই বিভিন্ন দলের নেতা নেত্রীরা তাঁদের কাছে এসে আশ্বাস দেন। কিন্ত তারপর আর তাদের দেখা মেলেনা। দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার নিকাশি, রাস্তা ঘাটের অবস্থা বেহাল। বর্ষায় ওয়ার্ডের পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়। জল কাদায় ঘর থেকে বার হওয়াই মুশকিল হয়। কাউন্সিলরকে বারবার বলা হলেও তিনি গুরুত্ব দিতে চান না বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE