প্রতীকী ছবি।
সার্কিট বেঞ্চ নিয়ে জলপাইগুড়ির বহু প্রতীক্ষিত দাবি পূরণ হতেই, জেলা আদালত চালুর দাবি আরও জোরালো হল আলিপুরদুয়ারে। লোকসভা নির্বাচনের আগে আলিপুরদুয়ারে জেলা আদালত চালু করতে সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাঝেই সময় বের করে রাজ্যের আইনমন্ত্রী ও হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইছেন জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা।
২০১৪ সালে আলিপুরদুয়ার পৃথক জেলা হিসাবে হিসাবে স্বীকৃতি পায়। তারপর থেকে সাড়ে চার বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও আলিপুরদুয়ারে এখনও জেলা আদালত গঠন হয়নি। জেলার আইনজীবীদের অনেকের ক্ষোভ, এর ফলে এখনও আলিপুরদুয়ার আদালত, মহকুমা আদালতের পর্যায়েই থেকে গিয়েছে। ফলে অনেক মামলার ক্ষেত্রেই বিচারপ্রার্থীদের জলপাইগুড়ি ছুটে যেতে হয়। বার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে খবর, আলিপুরদুয়ারে জেলা আদালত গঠন করতে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই জমি বরাদ্দ করেছে। পাশাপাশি জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের মতোই আলিপুরদুয়ার জেলা আদালতের জন্যও অস্থায়ী একটি পরিকাঠামোও তৈরি রয়েছে। তারপরেও চালু হয়নি জেলা আদালত। এই অবস্থায় জেলা আদালত চালুর দাবিতে একাধিকবার আন্দোলনে নামতেও দেখা গিয়েছে আলিপুরদুয়ারের আইনজীবীদের।
সম্প্রতি রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক আলিপুরদুয়ারে এলে জেলা আদালত চালুর ব্যাপারে আশায় বুক বাঁধেন আইনজীবীরা। আলিপুরদুয়ার আদালতের পরিকাঠামো পরিদর্শনের পর সেদিন আইনমন্ত্রী জানান, জেলা আদালত চালুর জন্য আলিপুরদুয়ারে পরিকাঠামো তৈরি রয়েছে। কলকাতায় ফিরে বিষয়টি হাইকোর্টে জানানো হবে। লোকসভা নির্বাচনের আগেই যাতে আদালত চালু হয় রাজ্য সরকারের তরফে সেই চেষ্টা করার কথাও সেদিন জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী।
কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার মুহূর্ত চলে এলেও ভোটের আলিপুরদুয়ারে জেলা আদালত চালুর ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও নিশ্চয়তা তাঁদের কাছে আসেনি বলে জানান আইনজীবীরা। এই পরিস্থিতিতে জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই সময় বের করে ফের একবার রাজ্য সরকার ও হাইকোর্টের কাছে এই দাবি তুলতে চাইছেন আলিপুরদুয়ার বার অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা। আলিপুরদুয়ার বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুহৃদ মজুমদার বলেন, “শেষবার আইনমন্ত্রী আলিপুরদুয়ারে এসে লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলা আদালত চালুর ব্যাপারে ভরসা দিয়েছিলেন৷ কিন্তু এখনও বিষয়টি নিয়ে আমরা নিশ্চিত নই। সে জন্যই শনিবার হাইকোর্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিষয়টি নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। সেইসঙ্গে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের সঙ্গে কথা বলারও চেষ্টা করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy