হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই বালুরঘাটের এ কে গোপালন কলোনির বাসিন্দা হোমগার্ড ভবেশচন্দ্র দাসের মৃত্যু হয়েছে। এমন তথ্যই জোরালো করলো তাঁর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। সোমবার বিকেলে বালুরঘাট হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ঘটনার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভবেশবাবুর মৃত্যু হয়। পিটুনিতে তাঁর মৃত্যুর অভিযোগ ঠিক নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও আঘাতের কোনও উল্লেখ নেই।’’
তবে গোলমাল এবং উত্তেজনা সৃষ্টির ফলে ভবেশবাবুর মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগে ধৃত প্রাণকৃষ্ণ দাসঅধিকারী ও তাঁর দুই ছেলের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বালুরঘাট আদালতের নির্দেশে ধৃত তিন জনের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ভবেশবাবুর দেহের বাইরে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। মাথার পিছনে এক থেকে দু ইঞ্চির মতো ছড়ে যাওয়ার চিহ্ন রয়েছে। ভিসেরা সংরক্ষণ করে তা পরীক্ষার জন্যেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। মৃত্যুর পর তার আঙুলের নখের রঙ নীল হয়েছিল বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘সাধারণত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে আঙুলের ওইরকম লক্ষণ হয়।’’
শনিবার রাতে দোকানের সামনে নোংরা ফেলা নিয়ে প্রতিবেশী ধৃত প্রাণকৃষ্ণ দাসঅধিকারী পরিবারের সঙ্গে হোমগার্ড ভবেশবাবুর বচসা হয়। উচ্চ রক্তচাপের রোগী ভবেশবাবু গত কয়েকদিন হল ছুটিতে ছিলেন। গণ্ডগোলের সময় উত্তেজনার ফলে সম্ভবত তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে যান বলে রবিবার প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছিল। পরে বালুরঘাট হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy