পঞ্চায়েত ভোটের এখনও বাকি। তার আগেই প্রায় নিত্যদিন দলবদলের খেলায় সরগরম হয়ে উঠেছে মেখলিগঞ্জ। বামেরা ওই খেলায় পিছিয়ে থাকলেও রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ও বিজেপি একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছে। বিজেপি দাবি, চলতি মাসেই প্রায় এক হাজার পরিবার তাদের দলে যোগদান করেছে। এর মধ্যে যেমন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন তেমনই রয়েছেন বামেরা। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, চলতি মাসেই কয়েক হাজার মানুষ বাম ও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। প্রত্যেকক্ষেত্রেই আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই কর্মীদের দলে নেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের মেখলিগঞ্জ ব্লকের সভাপতি তপন দাম বলেন, “বামেদের দিক থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে আগেই। যে দু’একজন আছেন তাঁরাও এখন সরে যাচ্ছেন। বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতি কেউ মেনে নিচ্ছেন না। তাই দু’দলে যারা ছিলেন তাঁরা এখন তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন।” বিজেপির মেখলিগঞ্জ ব্লকের নেতা দধিরাম রায়ের পাল্টা দাবি, তৃণমূলের একের পর এক দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসায় ওই দল ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। তিনি বলেন,“রাজ্য থেকে ব্লক একের পর এক নেতার দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। এ ছাড়ার সর্বত্র এক অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় তৃণমূল ছেড়ে বহু নেতা-কর্মী আমাদের দলে আসছেন। এটা প্রায় নিত্যদিন ঘটছে।” বামেরা অবশ্য ওই ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। তাঁদের দাবি, মানুষকে বিভ্রান্ত করতে দু’দলই মাঝে মধ্যে দলবদলের অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে। মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারী বলেন, “এটা একটা রাজনৈতিক খেলা। মানুষ সব বুঝতে পারছে। নতুন করে বামফ্রন্ট থেকে কেউ অন্য দলে যায়নি।”
বিজেপি দাবি করেছে, গত ৪ জুন বাগডোগরা-ফুলকাডাবড়ির প্রাক্তন প্রধান কিনুমোহন রায় সহ ৩৮০ টি পরিবার, কুচলিবাড়ির বামফ্রন্টের সমর্থক ৪৬০ টি পরিবার এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সদস্য মেন্ডেমা রায় সহ ৩৫০ টি পরিবার সম্প্রতি বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। তৃণমূলের দাবি, কামাত চ্যাংরাবান্ধা, নিজতরফ, কুচলিবাড়ি, বাগডোকরা ফুলকাডাবড়ি এলাকায় কয়েক হাজার মানুষ তৃণমূলে যোগ দিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy