শিলিগুড়ি পুরসভায় চলছে বৈঠক। —নিজস্ব চিত্র।
কেন শহরকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ মুক্ত রাখতে পুর-কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারছেন না কাউন্সিলরদের নিয়ে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের বিশেষ বৈঠকে সেই প্রশ্ন উঠল।
বৃহস্পতিবার পুর ভবনের সভাকক্ষে ওই বৈঠকে মেয়র অশোক ভট্টাচার্য জানিছেন শহর প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ মুক্ত রাখার বিষয়টিকে স্বচ্ছ ভারত অভিযানের অন্তভুর্ক্ত করে ব্যাপক প্রচারে নামার পরিকল্পনা নিয়েছেন তাঁরা। বিরোধী দলনেতা নান্টু পালের অভিযোগ, শুধু প্রচার করলে হবে না। শহর প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ মুক্ত রাখতে পুরসভা যে ভাবে কাজ করছে সেটাই ঠিক নেই। কোনও বাজারে একদিন অভিযান করলেই হবে না। সেখানে পুরকর্মীদের সকাল সন্ধ্যে মোতায়েন করতে হবে। কেই নিষেধাজ্ঞা না মানলে লাগাতার জরিমানা করতে হবে। যেখানে মজুত করে রেখে তা সরবরাহ করা হচ্ছে ওই জায়গাগুলি চিহ্নিত করে অভিযান চালাতে হবে। পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য নিতে হবে। এ দিন কংগ্রেসের কাউন্সিলররা কেউ বৈঠকে যাননি।
মেয়র বলেন, ‘‘স্বচ্ছ ভারত অভিযান প্রকল্পে গত আর্থিক বছরের ১০ লক্ষ টাকা মিলেছে। শহর প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ মুক্ত রাখার বিষয়টি এই প্রকল্পের মধ্যে রেখে প্রচার অভিযান জোরদার করা হবে। কেন্দ্রীয় ভাবে ৫ অগস্ট নাগরীকসভা করা হবে। ১৮-২০ জুলাই বিভিন্ন বাজারে গিয়ে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ মুক্ত রাখার আহ্বান জানানো হবে। আমি, মেয়র পারিষদরা, সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাউন্সিলররা থাকবেন।’’
কংগ্রেসের কাউন্সিলর তথা ৩ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সুজয় ঘটকের কথায়, প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ বন্ধ করতে অনেক মিটিং, রাজনীতি, কমিটি হয়েছে। তাঁরা চান এ বার কাজ হোক। তিনি বলেন, ‘‘ওই কাজে সমস্ত সাহায্য করতে আমরা প্রস্তুত। মেয়র নানা সময় ডেকে এ ব্যাপারে পরামর্শ নিয়েছেন, কিন্তু কাজ হয়নি। শহরের বাসিন্দারা এক সময় শহরকে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ মুক্ত করেছিলেন। এখন পুর কর্তৃপক্ষ সেটা করতে পারছে না কেন?’’
বিরোধীদের প্রশ্ন, এই কাজে ৩০-৩৫ জন কর্মী নেওয়া হয়েছিল। তারা এখন কাজ করছে না কেন? ৫ নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান রঞ্জন শীলশর্মা প্রশ্ন তোলেন সাফাই পরিষেবা নিয়েও। অভিযোগ, তাঁর বরোতে একমাসে জঞ্জাল ভাগারে নিয়ে যাওয়ার ট্রাক ১২১ টি ট্রিপ করেনি। এ দিনও গাড়ি যায়নি।
সাফাই বিভাগের মেয়র পারিষদ মুকুল সেনগুপ্ত জানান, রঞ্জনবাবুর বরোতে আবর্জনা তোলার গাড়ি খারাপ হয়েছে। অন্য ব্যবস্থা হচ্ছে। প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য পুলিশ চাওয়া হলে ১৬ জুলাইয়ের পর মিলবে বলে জানানো হয়। পুর কর্তৃপক্ষ জানান, স্বচ্ছ ভারত অভিযানের টাকা প্রচার কাজে ব্যবহার হবে। পুরসভাও ৫ লক্ষ টাকা দেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy