শোক: বন্ধুকে জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সায়েশার বাবা।
মেয়ের মৃত্যুর বিচার চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান সায়েশার বাবা শৌমিক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুরে শিলিগুড়িতে একটি সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান তিনি।
সম্প্রতি কলকাতায় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে মারা যায় ডেঙ্গি আক্রান্ত শিলিগুড়ির বাসিন্দা সায়েশা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন শৌমিকবাবুদের বাড়িতে দেখা করতে যান রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। বলেন, ‘‘পরিবারটিকে সমবেদনা জানিয়েছি। ওদের পাশে আছি।’’ শৌমিকবাবু বলেন, ‘‘মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি করা কমিশনে অভিযোগ দিতে বলেছেন। কলকাতাতেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাব। আমার মেয়ের বিচার চাই।’’
এ দিনই শৌমিকবাবু উত্তরায়ণ উপনগরীর একটি নার্সিংহোমের চিকিৎসক প্রিন্স পারেখের বিরুদ্ধে মাটিগাড়া থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। যদিও চিকিৎসক প্রিন্স পারেখ বলেন, ‘‘অভিযোগ সঠিক নয়। আমি শীঘ্রই সব অভিযোগের উত্তর দেব।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, এ দিন অভিযোগ নিয়ে তা কলকাতার নিউটাউন থানাকে জানিয়েছে শিলিগুড়ি পুলিশ। ওই থানাতেই প্রথমে শৌমিকবাবু মেয়ের মৃত্যুতে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ করেছেন। সেই সঙ্গে শিলিগুড়ির এক শিশু বিশেষজ্ঞের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে বিষয়টি জানাবে পুলিশ। আজ, সন্ধ্যায় শনিবার শিলিগুড়ির মোমবাতি মিছিল হওয়ার কথা। বৃহস্পতিবার তৃণমূলের নেতারাও গিয়েছিলেন শৌমিকবাবুর বাড়ি। তাঁরাও জেলার নার্সিংহোমগুলির নিয়ন্ত্রণ সংস্থার কাছে আবেদন করতে বলেছিলেন। সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছেন শৌমিক। এ দিন থানায় শিশু চিকিৎসক প্রিন্স পারেখের বিরুদ্ধে গাফিলতি এবং অবহেলা করে বিভ্রান্তিমূলক পরামর্শের অভিযোগ করেছেন। এ দিনই শৌমিকের বাবা মোমবাতি মিছিলে সবাইকে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত সপ্তাহে শিলিগুড়ির পঞ্জাবি পাড়ার বাসিন্দা সাত বছরের মেয়ে সায়েশাকেন্ড জ্বর নিয়ে মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেছিলেন শৌমিকবাবু। তাঁর অভিযোগ, পরে তাকে সেখানে থেকে পরিকাঠামো নেই বলে কলকাতার একটি নার্সিংহোমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানেই মারা যায় সায়েশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy