Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus

স্টেট ব্যাঙ্কে করোনা বিড়ম্বনায় গ্রাহকরা

প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই ব্যাঙ্ক আধিকারিক সম্প্রতি বাইরে যাননি।

আতঙ্ক: বন্ধ হয়ে গেল স্টেট ব্যাঙ্কের মূল শাখা। নিজস্ব চিত্র

আতঙ্ক: বন্ধ হয়ে গেল স্টেট ব্যাঙ্কের মূল শাখা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০২০ ০৪:১৭
Share: Save:

করোনার থাবায় মাসের শুরুতেই জলপাইগুড়িতে বন্ধ হয়ে গেল স্টেট ব্যাঙ্কের মূল শাখা। মাস পয়লায় ব্যাঙ্ক খোলার ঢের আগে থেকেই বয়স্কদের লম্বা লাইন দেখা যায় এই শাখায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শয়ে শয়ে পেনশনভোগীদের ক্লাব রোডে ব্যাঙ্কের শাখার সামনে লাইন দিয়েও ফিরে যেতে হয়েছে। ফিরতে হয়েছে অন্য গ্রাহকদেরও। ব্যাঙ্ক লাগোয়া এটিএমেও টাকা ভরা হয়নি এ দিন। দুর্ভোগ চরমে ওঠে গ্রাহকদের। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আজ শুক্রবারও ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে। তার পরদিন শনিবার অর্ধেক দিনের কাজ হবে। ব্যাঙ্কের ডেপুটি ম্যানেজার পদমর্যাদার এক আধিকারিকের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বুধবার। তাঁকে জলপাইগুড়ি কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। জলপাইগুড়ির করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা চারশোর দিকে এগোচ্ছে।

প্রশাসন সূত্রের খবর, ওই ব্যাঙ্ক আধিকারিক সম্প্রতি বাইরে যাননি। তাঁর স্ত্রী জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পে জলপাইগুড়ির জেলা স্বাস্থ্য দফতরে কর্মরত। শহরের সংস্কৃতি পাড়া এলাকায় তাঁদের বাড়ি কনটেনমেন্ট জ়োন করা হয়েছে। আশেপাশের এলাকাকে বাফার জ়োন করেছে পুরসভা। যেহেতু ওই আধিকারিক নিয়মিত ব্যাঙ্কে গিয়েছেন, তাই আপাতত দু’দিন শাখা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের। শহরের ক্লাব রোডে ব্যাঙ্কের শাখায় প্রতিদিন শয়ে শয়ে গ্রাহকেরা আসেন। তাঁদের কারও থেকে সংক্রমিত হয়েছে নাকি ব্যাঙ্কের অন্য কর্মীদের থেকে আধিকারিক সংক্রমিত হয়েছেন তার নির্দিষ্ট তথ্য নেই। আপাতত ওই আধিকারিকের সঙ্গে কাজ করা অন্যদেরও করোনা পরীক্ষা করা হবে। ব্যাঙ্কের মুখ্য ম্যানেজার সিদ্ধার্থ গুপ্ত বলেন, “আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না। প্রশাসন দু’দিন ব্যাঙ্ক বন্ধ রাখতে বলেছেন। ব্যাঙ্কে জীবাণুনাশ করা হবে। কর্মী-গ্রাহক সকলের স্বাস্থ্য নিয়েই চিন্তায় রয়েছি।”

আক্রান্তের স্ত্রী যে বিভাগে কাজ করতেন, সেখানেও সতকর্তা নেওয়া হচ্ছে। তবে প্রশাসনের সবচেয়ে চিন্তা ব্যাঙ্ক নিয়েই। বিশেষ করে মাসের গোড়ায় পেনশন তুলতে প্রবীণরাই ব্যাঙ্কে আসেন। জলপাইগুড়ির পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, “আক্রান্ত ব্যক্তির পাড়ায় সর্তকতা নেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্কেও জীবাণুনাশ করা হবে। স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা চলছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus COVID-19 SBI
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE