ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ক্লিপিংস থেকে।—নিজস্ব চিত্র।
কুড়ি-পঁচিশ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে এক স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করছে এক যুবক। সেই ছবি মোবাইল বন্দি করারও চেষ্টা করছে অভিযুক্ত যুবক। ছাত্রীর পরনে স্কুলের পোশাক এবং কাঁধে ব্যাগ ছিল। তাতে স্পষ্ট ওই ছাত্রী স্কুলে যাচ্ছিল, বা স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল।
ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ওই ভিডিও সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ভাইরাল হওয়ায় ঘুম উবে গিয়েছে পুলিশের। ওই ভিডিওতে যাদের ছবি দেখা গিয়েছে সেই ছাত্রী ও অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে সোমবার দিনভর তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু সারাদিন পরেও তাদের পরিচয় জানা যায়নি। ওই ছাত্রী কোচবিহার মেখলিগঞ্জের একটি হাইস্কুলে পড়াশোনা করে বলে প্রচার হয়। কিন্তু ওই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা কেউই ওই ছাত্রীর পরিচয় বের করতে পারেননি।
দিনের আলোয় স্কুলের এক ছাত্রীকে কী ভাবে ওই যুবক শ্লীলতাহানি করার সাহস পেল তা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন জেলার মানুষ। তাঁরা দাবি করেছেন, ওই ছাত্রী যে স্কুলেরই হোক না কেন অভিযুক্তকে খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিক পুলিশ। কোচবিহারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, “ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”
যে স্কুলে ওই ছাত্রী পড়ে বলে প্রচার হয়, সেই হাইস্কুলের আশেপাশের বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েক বছর আগে স্কুলের আশেপাশে ইভটিজারদের দৌরাত্ম্য ছিল। সেই সময় শ্লীলতাহানির একাধিক ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। তা নিয়ে মৌখিক ভাবে অভিযোগ হয়। এক বাসিন্দার কথায়, “গ্রামের মানুষ থানা-পুলিশ করতে একটু ইতস্তত বোধ করেন। তাই অধিকাংশ অভিযোগ থানা পর্যন্ত পৌঁছোয় না।”
তবে যে ছবি ভাইরাল হয়েছে তা কবে তোলা হয়েছে তা নিয়ে স্পষ্ট করে পুলিশ কিছু জানতে পারেনি। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা বলেন, “আমরা যে ভিডিও দেখেছি তাতে মুখ আবছা। তাতে যতটুকু বুঝতে পেরেছি ওই ছাত্রী আমাদের স্কুলের নয়। তবে আরও নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি। আর এমন ঘটনা হলে অভিভাবকরা কেউ আমাদের জানাতেন। কেউ কিছু জানাননি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy