কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী
কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর পরে ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান পদে কে বসবেন, তা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে সম্প্রতি পদত্যাগ করলেও তাঁকে নিয়ে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে আলোচনা চলছে। তেমনই কৃষ্ণেন্দুবাবুকে সরানোর মূল দাবিদার যিনি, সেই ইংরেজবাজারের বিধায়ক তথা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নীহাররঞ্জন ঘোষও আলোচ্য তালিকায় প্রথম সারিতে জায়গা পাচ্ছেন। ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলার অম্লান ভাদুড়ি ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশিস কুণ্ডুর নামও ভাসছে তৃণমূলের দলীয় অফিসে। সম্প্রতি ভাইস চেয়ারম্যান হওয়া তৃণমূলের সুমালা অগ্রবালের নামও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ওড়ানো যাচ্ছে না পুরসভায় বিরোধী নেত্রী সুতপা দাসের নামও। তৃণমূলের দাবি, সুতপাদেবী এ দিন তাঁদের দলে যোগ দিয়েছেন।
যাঁদের নাম ওই দু’টি পদের জন্য ঘোরাফেরা করছে, তাঁরা কিন্তু বল দলের কোর্টেই ঠেলে দিয়েছেন। তাঁদের সাবধানী মন্তব্য, ‘‘এ ব্যাপারে দলই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ইংরেজবাজার পুরসভায় দলের ১৫ জন সদস্য ছিলেন। এ দিন কলকাতায় সিপিএমের ৫ জন কাউন্সিলর দলে যোগ দিয়েছেন। নীহারবাবু ও তাঁর স্ত্রী নির্দল কাউন্সিলর হলেও তাঁরা সহযোগী সদস্য হয়েছেন। জেলা সভাপতির বক্তব্য, ‘‘কে পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান হবেন, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার কথা হবে দলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই চূড়ান্ত।’’
মালদহ জেলা পরিষদের অনাস্থা পর্ব থেকেই ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীকে সরানোর তোড়জোড়ের সূত্রপাত। গত ১৬ নভেম্বর কংগ্রেস-সিপিএম মিলে জেলা পরিষদের সাত সদস্যের বিরুদ্ধে অপসারণের যে তলবি সভা ডেকেছিল, তা ভেস্তে দিতে তৃণমূলের এক জনের সমর্থন দরকার ছিল। ইংরেজবাজারের নির্দল বিধায়ক নীহারবাবু সেই সমর্থন দেন। কিন্তু নীহারবাবুর শর্ত ছিল, চেয়ারম্যান পদ থেকে কৃষ্ণেন্দুকে সরাতে হবে।
কৃষ্ণেন্দু অবশ্য জানান, দলনেত্রী না বললে তিনি সরবেন না। এ দিকে কৃষ্ণেন্দু না সরায় পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকার-সহ ৮ জন দলীয় কাউন্সিলর নিজেদের বিভিন্ন পদ থেকে ইস্তফা দেন। এর পরে মোয়াজ্জেম চিঠি দিয়ে কৃষ্ণেন্দুকে সরতে বলেন। এ দিন কৃষ্ণেন্দু নিজেই ইস্তফার কথা ঘোষণা করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার তিনি সম্ভবত জেলাশাসকের কাছে ইস্তফাপত্র দেবেন।
এর পরেই চেয়ারম্যান পদের দৌড়ে কে এগিয়ে রয়েছেন, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। দলের একটি অংশ জানিয়েছে, দুলাল সরকার ভাইস চেয়ারম্যানের পদে দীর্ঘদিন ধরেই থাকায় তাঁর অভিজ্ঞতা রয়েছে। মাঝে কৃষ্ণেন্দুবাবু যখন অসুস্থ ছিলেন, তখন তিনিই পুরসভা সামলেছেন। নীহারবাবুও রয়েছেন দৌড়ে। তিনি এক সময় পুরসভার চেয়ারম্যান পদে ছিলেনও। দলের অন্যতম দাপুটে দুই কাউন্সিলর অম্লান ভাদুড়ি ও আশিস কুণ্ডুর নামও শোনা যাচ্ছে। চার জনই অবশ্য জানিয়েছেন, দল যাঁকে মনে করবে, তাঁকেই ওই পদে বসাবে। এখানে তাঁদের কোনও বক্তব্যই নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy