ছবি: সংগৃহীত।
গত সপ্তাহে শেষ হয়েছে শিলিগুড়ি মহকুমার ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ বছরের মেয়াদ। রবিবার শেষ হয়ে গেল মহকুমার ৪টি পঞ্চায়েত সমিতির সময়সীমাও। ১৫ নভেম্বর মেয়াদ শেষ হতে চলেছে মহকুমা পরিষদের। কিন্তু এখনও জারি হয়নি সরকারি কোনও বিজ্ঞপ্তি। ফলে পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি বা মহকুমা পরিষদে প্রশাসক পদে কে বা কারা বসবেন তাপরিষ্কার হয়নি।
আজ, সোমবারের মধ্যে নির্দেশিকা জারি না হলে আটকে যাবে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া মেটানো সহ প্রশাসনিক ও উন্নয়নের কাজ। এই অবস্থায় জেলা প্রশাসনের তরফে জরুরি ভিত্তিতে যোগাযোগ করা হয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরে৷ মহকুমা পরিষদের কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেছেন, ‘‘আমরা কলকাতায় যোগাযোগ করেছি। কী সিদ্ধান্ত হবে তা এখনও বলতে পারছি না। তবে দ্রুত নির্দেশিকা জারির জন্য বলা হয়েছে।’’
তৃণমূলের তরফে বর্তমান দায়িত্বে থাকাদের প্রতিনিধিদের প্রশাসক পদে বসানোর দাবি তোলা হয়েছে। শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ রাজ্যের একমাত্র মহকুমা পরিষদ। বাকি জেলাগুলিতে জেলা পরিষদ কাজ করে। বাম আমলে ১৯৮৯ সালে পাহাড়ে পার্বত্য পরিষদের মত আলাদা প্রশাসনিক ব্যবস্থা করার সময় জেলা পরিষদ ভেঙে সমতলের জন্য মহকুমা পরিষদ করা হয়েছিল। প্রথম থেকেই পরিষদের ক্ষমতায় রয়েছে বামফ্রন্ট। ২০১১ সালের পরেও তৃণমূল অনেক চেষ্টা করলেও তা দখল করতে পারেনি।
২০১৫ সালে ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় বামেরা। পরে সিপিএম এবং কংগ্রেস থেকে দলবদল হলেও বোর্ড বামেদের হাতেই ছিল। ২২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্য ৬টিতে তৃণমূল জিতেছিল। এখন দলবদল হওয়ায় তৃণমূলের হাতে ১৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এই অবস্থায় শাসক দলের গ্রামীণ এলাকার নেতারা চাইছেন, ভোট না হওয়া অবধি পুরনো জনপ্রতিনিধিদেরই রাখা হোক।
মহকুমা পরিষদের বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের কাজল ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা চাই পুরনোরাই প্রশাসক পদে বসুক। তবে সবটাই সরকারি সিদ্ধান্ত।’’
মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি তাপস সরকার বলেন, ‘‘মানুষ আমাদের নির্বাচিত করেছে। এখন সরকার ভোট না করে কাকে প্রশাসক বসাবে তা সরকারি সিদ্ধান্ত। তবে দ্রুত তা হওয়া প্রয়োজন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy