Advertisement
১১ মে ২০২৪

এত ছুটি কেন! নোটিস দেখে বিক্ষোভে পড়ুয়ারা

রাজ্য সরকারের তরফে ‘ফণী’র জন্য শুক্রবার ও শনিবার ছুটি দেওয়া হয়েছে। তারপরে গরমের ছুটি শুরু হবে। টানা ছুটি চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আবহাওয়ার কথা বিচার করে ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবাদ: স্কুলে টানা ছুটির বিরুদ্ধে পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র

প্রতিবাদ: স্কুলে টানা ছুটির বিরুদ্ধে পড়ুয়ারা। নিজস্ব চিত্র

বিল্টু সূত্রধর
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৯ ০১:৪১
Share: Save:

স্কুল বন্ধ থাকবে টানা দু’মাস। সকালে স্কুলে এসে এই নোটিস দেখামাত্র ছড়িয়ে পড়ল ক্ষোভ। এতদিন ক্লাস বন্ধ থাকলে সিলেবাস কী ভাবে শেষ হবে সেই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে পড়ুয়ারা। দাবি ওঠে ছুটির মেয়াদ কমানোরও। শুক্রবার জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া বেরুবাড়ি এলাকায় তফসিলি ফ্রি হাইস্কুলের ঘটনা।

রাজ্য সরকারের তরফে ‘ফণী’র জন্য শুক্রবার ও শনিবার ছুটি দেওয়া হয়েছে। তারপরে গরমের ছুটি শুরু হবে। টানা ছুটি চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আবহাওয়ার কথা বিচার করে ৩০ জুন পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছে। এ দিন স্কুলে এসে এই ছুটির কথা জানাজানি হতেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকে পড়ুয়ারা। স্কুলের গেট বন্ধ করে চলে বিক্ষোভ। প্রধান শিক্ষকের ঘরেও চলে বিক্ষোভ। পড়ুয়াদের অভিযোগ, দু’মাস স্কুল বন্ধ থাকলে সিলেবাস শেষ না হওয়ায় পড়াশোনার ক্ষতি হবে। এই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী পূজা রায় বলে, ‘‘আমাদের অনেকের কোনও গৃহশিক্ষক নেই। স্কুলেই আমরা পড়া বুঝি। ক্লাস চালু করা না হলে আবার আন্দোলনে নামব।’’

পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হয় বেরুবাড়ির তফশিলি ফ্রি হাইস্কুলে। মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ১২০০। তাদের জন্য স্কুলে রয়েছেন ১৮ জন শিক্ষক। তাছাড়া পার্শ্বশিক্ষক রয়েছেন ৮ জন। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন এ বার স্কুলে মাধ্যমিকের পড়ুয়ার সংখ্যা ১৪৬ জন। গড়ালবাড়ি, বেরুবাড়ি, নগর-বেরুবাড়ি, খারিজা-বেরুবাড়ি, মন্ডলঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে অনেক পড়ুয়া এই স্কুলে আসে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই দরিদ্র পরিবারের বলে জানাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ক্লাস বন্ধ থাকলে মাধ্যমিক পড়ুয়াদের কী হবে সেই চিন্তা ছড়িয়েছে অভিভাবকদের মধ্যেও।

স্কুলের এক ছাত্রের অভিভাবক বিশারু হক বলেন, ‘‘আমরাও চাই ছুটির মেয়াদ কমিয়ে ১০-১৫ দিন করা হোক। এত দিন ছুটি থাকলে সকল পড়ুয়ারা সমস্যায় পড়বে।’’

স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিতাভ নিয়োগী বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশ এসেছে। সেটাই নোটিস বোর্ডে টাঙানো হয়েছে। এরপরেই পড়ুয়ারা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। আমার ঘরে ও স্কুলের গেট আটকে বিক্ষোভ শুরু করে। পড়ুয়াদের বোঝানো হয়েছে।’’ তিনি জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নির্দেশিকায় কোনও পরিবর্তন হলে মাইকিং করে এলাকায় জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান প্রধান শিক্ষক। কিন্তু নির্দেশিকায় বদল হবে কি? এখনও নিশ্চিত নন কেউ।

জেলা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শক স্বপন সামন্ত বলেন, ‘‘ক্লাস বন্ধ রাখার জন্য সরকারি নির্দেশ এসেছে। সেই নির্দেশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলোয়। এর বাইরে কিছু করার নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Student Agitation summer Vacation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE