n ধৃত: অভিযুক্ত জিএস। নিজস্ব চিত্র
ভর্তি সংক্রান্ত তোলাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে ধৃত বাগডোগরা কালীপদ ঘোষ তরাই মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক তরুণ সেনের জামিন নাকচ হয়ে গেল। রবিবার শিলিগুড়ির এসিজেএম আদালতের বিচারক ফতেমা ফিরদৌস অভিযুক্তকে ১১ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রের খবর, ধৃতের বিরুদ্ধে ৩৪১, ৩২৫, ৩৮৪, ৩৭৯, ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আটকে রেখে মারধর, ষড়যন্ত্র, তোলাবাজি, ছিনতাই-চুরির মত ধারা প্রয়োগ হয়েছে। আদালতে পুলিশ আদালতে জানিয়েছে, ঘটনায় অভিযুক্ত ছাড়াও আরও ছয়জন জডিত রয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে খোঁজা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার কবি ভানুভক্তের জন্মদিন উপলক্ষে কলেজ বন্ধ ছিল। কলেজে মেধাতালিকায় নাম ওঠা তারাবান্ধা এলাকার এক আদিবাসী ছাত্র ফেলিক্স আশুতোষ কুজুর ভর্তির জন্য খোঁজখবর করতে আসেন। মেধাতালিকায় তাঁর নাম উঠলেও তাঁর কাছে কোনও এসএমএস আসেনি। সেই নিয়ে খোঁজ করেন তিনি। কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে অনলাইনে টাকা জমা করার কথা বলা হয়েছিল। তাও কিছু বোঝার অসুবিধে থাকায় খোঁজখবর শুরু করেন। শেষে একটি পোস্টারে কয়েকটি ফোন নম্বর পেয়ে তিনি খোঁজখবর করেন। ফোনে তাঁকে কলেজের ভিতরে ডেকে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় তাঁকে ভর্তির আশ্বাস দিয়ে ৩ হাজার টাকা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। টাকা না পেয়ে তাঁর মোবাইল এবং মানিব্যাগ ছিনতাই করে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। মারের চোটে ওই ছাত্রের মাথা ফেটে যায়। বিষয়টি নিয়ে ওই ছাত্র বাগডোগরা থানায় অভিযোগ করার পরেই পুলিশ ওই কলেজের সাধারণ সম্পাদককে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনায় আরও ছয়জন অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
এ দিন তরুণকে আদালতে তোলার সময় তিনি দাবি করেন, ‘‘আমাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’’ তাঁর আইনজীবী সুস্মিতা বসু মৈত্র বলেন, ‘‘অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। নির্দিষ্ট করে তার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই।’’ ওই মামলার সরকারি আইনজীবী সুদীপ রায় বসুনিয়া বলেন, ‘‘২৬ জুলাই তাকে ফের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
অন্যদিকে, বাগডোগরার কালীপদ ঘোষ তরাই মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতারের পরে ওই ঘটনায় যুক্ত প্রত্যেককে গ্রেফতারের দাবিতে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই রবিবার বাগডোগরা থানায় স্মারকলিপি দেয়। এ দিন কালীপদ ঘোষ তরাই মহাবিদ্যালয়ের জিএস কে আদালতে তোলার সময় টিএমসিপি-র এক প্রাক্তন ছাত্র নেতা-সহ কয়েকজন কর্মীকে আদালত চত্বরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে। সন্ধ্যায় মাটিগাড়ার একটি নার্সিংহোমে কোচবিহারের গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম এক আহতকে দেখতে যান মন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম দেব বলেন, ‘‘বাগডোগরা কলেজ নিয়ে কিছু বলছি না পুলিশ-প্রশাসনই বিষয়টি দেখবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy