সিঁড়িতে: এ ভাবেই চলে মিড-ডে মিল। নিজস্ব চিত্র
মিড-ডে মিল খেতে বারান্দায় জড়ো হয় খুদেরা। সেখানেই পাশপাশি বসে চলে খাওয়া। যারা বারান্দায় জায়গা পায় না তাদের ভরসা সিঁড়ি। এ ভাবেই মিড-ডে মিল চলে বাগরাকোটের জগদীশ বিদ্যাপীঠ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, মিড-ডে মিল খাওয়ানোর মতো পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গা নেই স্কুল চত্বরে। স্কুলে নেই রান্নার জায়গাও। অন্য জায়গায় রান্না করে তা স্কুলে নিয়ে এসে শিশুদের খাওয়া হয়। ঘরের জন্য পুরসভাকে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ।
বাগরাকোটের শ্রবণনগরে ১৯৭৩ সালে তৈরি হয়েছিল জগদীশ বিদ্যাপীঠ। স্কুলের প্রধানশিক্ষিকা শুক্লা রায় ভৌমিক জানান, এখন স্কুলে পড়ুয়া রয়েছে ১৬০ জন। তার মধ্যে জনা পনেরো নিয়মিত স্কুলে আসে না। এই স্কুলের পরিকাঠামো নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। অভিভাবকেরা জানাচ্ছেন, স্কুলের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য বসার বেঞ্চ থাকলেও বাকিদের মাটিতে বসেই পড়াশোনা করতে হয়। প্রধানশিক্ষিকার দাবি, ‘‘বসার বেঞ্চের ব্যবস্থা করার চেষ্টা চলছে।’’
স্কুলের সামনে পাঁচিল বরাবর তৈরি হয়েছে একাধিক দোকান। রয়েছে পান-বিড়ি থেকে লটারি বা সাইকেল-রিকশা সারাইয়ের দোকানও। দোকানের ভিড়ে স্কুলের সামনে দিনভর জটলা লেগে থাকে বলে অভিযোগ। স্কুলের সামনে দিয়ে গিয়েছে দু’টি নিকাশি নালা। সেই দু’টি নোংরা-আবর্জনায় ভর্তি বলে অভিযোগ।
স্কুল শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, স্কুলের সামনে অনেক দোকানেই নানা ধরনের নেশার জিনিস পাওয়া যায়। বারবার বলা সত্ত্বেও দোকানগুলো তোলা হয়নি বা সরিয়ে দেওয়ার কোনও ব্যবস্থা হয়নি বলে অভিযোগ। ওই এলাকার কাউন্সিলর তৃণমূলের নিখিল সাহানি। তিনি ওই বরোর চেয়ারম্যানও।
তিনি বলেন, ‘‘ওয়ার্ডের শিক্ষা বিষয়ক কমিটিতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। দোকানগুলো দীর্ঘদিন ধরেই আছে। নেশাদ্রব্যের বিষয়টা পুলিশকে বলা হয়েছে। আর কী ভাবে স্কুলের সামনে থেকে দোকানগুলো সরানো যায় তা দেখা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy