সহায়তা: শনিবার দাড়িভিট বাজারে গুলিতে আহত ছাত্র বিপ্লব সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হল টেস্ট পেপার। নিজস্ব চিত্র
দাড়িভিটে পরিবহণমন্ত্রীর সভাই এখন রীতিমতো বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের কাছে। স্কুল সংলগ্ন এলাকা থেকে বাজার পর্যন্ত এর মধ্যেই দলের পতাকা লাগানো হয়েছে। এ বার সোশ্যাল মিডিয়াতে-ও ‘দাড়িভিট চলো’ বলে প্রচারে জোর দিল তৃণমূল। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন সরকারি দফতরে কর্মরত দলের কর্মী-সমর্থকদের ওই দিন দাড়িভিটে হাজির থাকতেও বলা হচ্ছে।
উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে সম্প্রতি কর্মিসভা করতে এসে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ৬ জানুয়ারি দাড়িভিটের সভার বিষয়টি ঘোষণা করেন। তার পর থেকেই তোড়জোড় শুরু হয়েছে। দাড়িভিট এলাকায় গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়াল।
ওই মাঠেই শুভেন্দুর সভা হলে বাধা দেওয়ার কথা জানিয়েছে নিহতদের পরিবার। বিজেপির বক্তব্য, অন্য কোনও রাজনৈতিক দল সভা করতে চাইলে সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। বিজেপির কোনও আপত্তির ব্যাপার নেই। তবে স্থানীয় মানুষ বাধা দিলে, তাঁরা তাঁদেরই সমর্থন করবেন।
স্থানীয় রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ৬ জানুয়ারির ওই সভাকে ঘিরে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে চাইছে তৃণমূল। লোকসভা ভোটের আগে ওই এলাকা দখল নিতে যা খুব জরুরি বলে মনে করছেন তৃণমূলের লোকজনই। সভায় যাতে লোক হয়, তাই সে দিকে কড়া নজর রাখছেন স্থানীয় নেতৃত্ব। দলের কর্মী-সমর্থকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কাজের দোহাই দিয়ে অনুপস্থিত থাকা চলবে না। সে ক্ষেত্রে কাজ আগে সেরে রাখতে হবে।
তৃণমূলের দাড়িভিট অঞ্চল সভাপতি সুবোধ মজুমদার বলেন, ‘‘মন্ত্রী একটি সভা করবেন। ব্রিগেডের সভাকে সামনে রেখে ওই সভা হবে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও আমরা প্রচার চালাচ্ছি। প্রশাসনের উপরই সব নির্ভর করছে। তবে আমরা জানি নির্ধারিত দিনেই ওই সভা হচ্ছে।’’
২০ সেপ্টেম্বর শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের রূপ নেয় দাড়িভিট। গুলিতে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও এক ছাত্র। দাড়িভিট কাণ্ডের পর এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় বিজেপি। তৃণমূল পিছিয়ে থাকায় তা নিয়ে দলের অন্দরেও সমালোচনা হয়। সেই পরিস্থিতি অনেকটাই বদলায় দাড়িভিট স্কুলে দ্বিতীয়বার নিহতের পরিবারের লোকেরা তালা ঝোলালে। স্কুল খোলার দাবিতে অভিভাবকদের নিয়ে মিছিল করে তৃণমূল। তার পরেই সভার প্রস্তুতি শুরু হয়। কানাইয়ালাল বলেন, ‘‘ওই সভাকে ঘিরে নানা ভাবে আমাদের প্রচার শুরু হয়েছে।’’
মূলত এলাকার যুব নেতৃত্ব এখন সোশ্যাল মিডিয়াকেই প্রাচরের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে। সেখানে দাড়িভিট যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। উপরে ট্যাগ লাইন থাকছে ‘দাড়িভিট চলো’। ব্রিগেড চলোকে সামনে রেখে দাড়িভিট চলোও প্রচারও সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়ালে ভাসছে। যুব তৃণমূলের ইসলামপুরের টাউন সভাপতি কৌশিক গুন বলেন, ‘‘ব্যানার, পতাকা টাঙানো তো আছেই। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার গুরুত্ব পাচ্ছে দাড়িভিট চলো। আমরা তাই আশাবাদী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy