প্রতীকী ছবি
পরিযায়ী শ্রমিকদের লালারস পরীক্ষা শুরু হতেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে কোচবিহারে। জেলা প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী, রবিবার রাত পর্যন্ত নতুন করে আরও ৫৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৯১ জন। প্রশাসনের কর্তাদের একাংশের দাবি, কিছু ক্ষেত্রে আরও নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে। সেই কারণেই তড়িঘড়ি কোনও রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে না।
নতুন করে আক্রান্তদের যে হিসেব পাওয়া গিয়েছে, তাতে কোচবিহার সদরে ২১ জন, তুফানগঞ্জে ৯ জন, মাথাভাঙায় ৫ জন এবং দিনহাটায় ২০ জন। তাঁদের বেশিরভাগ জনই কোয়রান্টিন সেন্টারে রয়েছেন। বেশ কয়েকজন হোম কোয়রান্টিনেও রয়েছেন। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “দ্রুত পদক্ষেপ করার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। সবাইকে সাবধান ও সতর্ক থাকতে হবে।” জেলাশাসক পবন কাদিয়ান জানান, ইতিমধ্যেই জেলায় ২৪টি কন্টেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। যে সব এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি সেই হিসেবেই তা করা হয়েছে। তার মধ্যে দিনহাটা ১ এবং দিনহাটা ২ ব্লক, সিতাই এবং তুফানগঞ্জের কিছু এলাকা রয়েছে। ওই সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে।
এ ছাড়া, এ দিন থেকেই কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ট্রুন্যাট ল্যাব চালু করা হয়েছে। সেখানে ২৫ থেকে ৩০ জনের পরীক্ষা হতে পারে। এ রকম ল্যাব জেলায় ৩টি করা হবে। এর বাইরে মেডিক্যাল কলেজে আরটি পিসিআর ল্যাব চালু করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের উপরে নির্ভর করতে হবে না। তিনি বলেন, “ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরা বাসিন্দাদের মধ্যেই ওই সংক্রমণ হয়েছে। তাঁদের আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে যাঁরা ওই আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁদের কোয়রান্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে।”
প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত কোচবিহারে ১ লক্ষ ১০ হাজার শ্রমিক ফিরেছেন। এ দিন আরও সাতটি ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকেরা ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই রেড জোন এসেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, আরও ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ জেলায় ফিরবেন। সেখানে শনিবার পর্যন্ত সবমিলিয়ে ৫৬৮৭ জনের লালারস পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে ৪২৪৬ জনের রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে।
রবিবারে ওই সংখ্যা আরও কিছুটা বেড়েছে। তার মধ্যে হাতে গোনা পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবে ধরেই নেওয়া যায়, পরীক্ষার হার বাড়লেই আরও বেশি করে আক্রান্ত ধরা পড়বে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে জেলায় চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে তোলাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “জেলায় যে কোভিড হাসপাতাল রয়েছে সেখানে আক্রান্তদের শুধু রাখা হয়। চিকিৎসার জন্য আক্রান্তদের শিলিগুড়িতে পাঠানো হয়। তা একটি বড় সমস্যা। সেই সমস্যা মেটানোর উদ্যোগ শুরু হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy