মঞ্চে: দার্জিলিঙে দলের সভায় গৌতম দেব। নিজস্ব চিত্র
বরাবর নিস্তরঙ্গ ভোট দেখতে অভ্যস্ত দার্জিলিং পাহাড়ের রাজনৈতিক পরিবেশটাই আমূল বদলে গিয়েছে।
ভোট প্রচারের শেষ লগ্নে সেই বদলে যাওয়া চেহারা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন পাহাড়বাসীদের অনেকেই। কারণ, এত দিন ভোট প্রচারের শেষ পর্বে শুধু একটা দলই চেঁচিয়ে পাড়া মাথায় তুলে রাখত। কিন্তু, শুক্রবার বিমল গুরুঙ্গদের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে ভোট প্রচার শেষ করলেন রাজেন মুখিয়া, বিন্নি শর্মারা। কালিম্পঙে বিমল যখন তাল ঠুকলেন, সেই সময়ে কার্শিয়াঙে পাল্টা তোপ দাগলেন প্রদীপ প্রধান। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব দার্জিলিঙের চকবাজারে দাঁড়িয়ে টানা বক্তৃতায় হাততালি কুড়োলেন বারবার। বেলা ৩টেয় প্রচারের কাজ ফুরানোর পরে দুই শিবিরেই দেখা গেল ভোটের চূড়ান্ত প্রস্তুতি। কালিম্পঙে দাঁড়িয়ে বিমল গুরুঙ্গকে বলতে শোনা গেল, ‘‘পাহাড়ের মানুষ পাহাড়ের মানুষেরই পাশে থাকবেন। সেটাই ফের রবিবার বুঝিয়ে দেবেন।’’
কিন্তু, পাহাড়বাসী এখন প্রকাশ্যে সেই ডাককে অগ্রাহ্য করার সাহসও দেখাচ্ছেন। বেলা ১১টায় মিরিকে তৃণমূলের মিছিলে জনস্রোত দেখে দলের পাহাড়ের পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস পায়ের ব্যথার কথা ভুলেই গেলেন। দীর্ঘ মিছিলের পরে ভিড় দেখে অরূপবাবু বললেন, ‘‘যাঁরা উন্নয়নের টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে, তাঁদের এ বার পাহাড়ের মানুষ উচিত শিক্ষা দেবেন।’’ একটানা মিরিকে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী। এত ভিড় দেখেও সন্তুষ্টি দেখা গেল না তাঁর। তিনি বললেন, ‘‘ভোট গণনার দিন পর্যন্ত মাটি কামড়ে থাকব।’’
ভোট প্রচারের শেষ দিনে কোথাও গোলমাল হয়নি। তাতে কি! প্রতি পদে গোলমালের আশঙ্কা রয়েছে। মোর্চাও সন্ত্রাস, রিগিঙের আশঙ্কা করছে অনেক জায়গায়। তাই পাহাড়ের চার পুরসভায় ৩ কোম্পানি সিআরপি টহলদারি শুরু করেছে। সমতলের জেলা থেকেও বাড়তি পুলিশ বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে। রাজ্য পুলিশের এডিজি এন রমেশবাবুকে দেখা গেল নিজেই গাড়ি চালিয়ে পাহাড়ি পথে ঘুরে বেরিয়ে তদারকি করছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy