চিত্র: সেই পোস্টার। নিজস্ব চিত্র
ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা নুর আলম হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে আগেই। এ বার শহরের বিভিন্ন এলাকায় তাঁর ছবি দেওয়া ব্যানার টাঙিয়ে কঠোর শাস্তির দাবি করা হল।
শনিবার দিনহাটার ডাকবাংলো পাড়ায় মহকুমাশাসকের বাংলোর মূল গেটের সামনে, গোপালনগর এলাকা-সহ বেশ কিছু জায়গায় সেই ব্যানার টাঙানো হয়। যদিও কিছুক্ষণ পরেই সেই ব্যানারগুলো খুলেও নেওয়া হয়।
শিক্ষিকা ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হওয়ার পাশাপাশি প্রশাসন এর পরেও কী করে নীরব থাকবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে ব্যানারে। অভিযুক্তের কঠিন শাস্তির দাবিও করা হয়েছে। তবে কে বা কারা ওই ব্যানার টাঙিয়েছিলেন তা জানা যায়নি। আলম বিরোধী গোষ্ঠীর কর্মী-সমর্থদকদের কেউ এই ব্যানার টাঙিয়েছিলেন বলে মনে করছেন অনেকে।
তৃণমূলের সিতাই বিধানসভা কার্যকরী কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রসন্ন দেবশর্মা, কমিটির অন্যতম সদস্য গীতালদহ ১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আবুয়াল আজাদ বলেন, ‘‘ধর্ষণকাণ্ডে নুর আলম হোসেনকে দল থেকে বহিষ্কার করেছেন জেলা নেতৃত্ব। সুতরাং বহিষ্কৃত ওই নেতা দলের কেউ নন। তাঁর বিরুদ্ধে যে বা যাঁরা ব্যানার টাঙিয়েছেন তাঁদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।’’
বিজেপির কোচবিহার জেলা সম্পাদক সুদেব কর্মকার বলেন, ‘‘নানা রকম দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে তৃণমূল। আর সেই দলের উঁচু থেকে নিচু বেশিরভাগ নেতাই তার সঙ্গে জড়িত। তৃণমূলে কে কার বিরুদ্ধে লড়াই করে টিকে থাকবে সেই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।’’
নুর আলম হোসেন হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন বলে জানান বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া। তিনি বলেন, ‘‘নুর আলম হোসেনকে হাইকোর্ট জামিন দেওয়ায় সে আর পাঁচ জন সাধারণ মানুষের মতো ঘুরছেন। বিচারে তার কী হবে সে ব্যাপারে আইন আছে, আদালত আছে।’’
দিনহাটার মহকুমাশাসক শেখ আনসার আহমেদ বলেন, ‘‘সরকারি বাংলোর গেটে ব্যানার লাগানোর বিষয়টি পুলিশকে জানানো হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy