লন্ডভন্ড: চুরির পর ঘরের পরিস্থিতি। নিজস্ব চিত্র
শিলিগুড়ি থানার অদূরে রেল পুলিশের এক কর্মীর আবাসন থেকে চুরি গেল টাকা, সোনা। শুক্রবার গভীর রাতে শিলিগুড়ি থানার ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে নিউ সিনেমা লাগোয়া এলাকার ঘটনা। শনিবার সকালে ওই পুলিশ কর্মী কাজ থেকে ফিরে বিষয়টি বুঝতে পারেন। তাঁর পরিবারের লোকজন বাইরে থাকায় বাড়িটি তালাবন্ধ ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, মহম্মদ রফিউল নামের জংশন রেল পুলিশের ওই কর্মীর আবাসনের সামনের দরজার তালা ভেঙে তাণ্ডব চালায় চোরের দল। পুলিশি টহলদারি নিয়ে ওই পুলিশকর্মীর কোনও অভিযোগ না থাকলেও তাঁর বক্তব্য, ‘‘এলাকায় মদ, গাঁজা এবং মাদক রমরমা। সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে।’’ পুলিশ আরও জানিয়েছে, আলমারি ভেঙে চুরি গিয়েছে নগদ টাকা এবং প্রায় দেড় ভরি সোনার গয়না। জংশন স্টেশনে কর্মরত রেল পুলিশের ওই কর্মী বলেন, ‘‘কালীপুজো উপলক্ষে কয়েকদিন হল স্ত্রী, ছেলে এবং মেয়ে মালদায় গিয়েছে। এলাকারই কেউ নজর রাখছিল। রাতে কাজে ছিলাম। সকালে ফিরে দেখি দরজার তালা ভাঙা। ভিতর থেকে ছিটকিনি তুলে সব তছনছ করেছে বুঝতে পারছি।’’
এদিন, ওই আবাসনে গিয়ে দেখা যায়, সব কিছু ওলটপালট করা। দীর্ঘ ক্ষণ ধরে খোঁজাখুঁজির ছাপ স্পষ্ট। ওই পুলিশকর্মীর দাবি, রাতে তিনি যে আবাসনে ফিরছেন না তা জেনেই অনেকটা সময় নিয়ে চাবি খুঁজেছে চোরের দল। খুঁজতে খুঁজতেই কোনও ভাবে আলমারির চাবি পেয়েও গিয়েছিল তারা।
এলাকায় মাদক সেবনের জন্যই এ ভাবে চুরি ছাড়াও একাধিক অপরাধের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শর্মিলা দাসের দাবি, থানায় বলা সত্ত্বেও কোনও সমাধান হচ্ছে না। শর্মিলার কথায়, ‘‘এলাকায় যে মাদককে কেন্দ্র করেই এসব বাড়ছে তা নিয়ে পুলিশের কাছে ওয়ার্ড কমিটি থেকে দু’মাস আগেই স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি।’’
থানা থেকে এতটা কাছে পুলিশের বাড়িতেই যদি চুরি হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তা নিয়েই। এ প্রসঙ্গে ডিসি (পূর্ব) গৌরব লাল বলেন, ‘‘এলাকায় নিয়মিত ভাবে টহলদারি চলে। এই ঘটনার পর আমরা খতিয়ে দেখছি, কারা রয়েছে এর পিছনে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy