প্রতীকী ছবি
নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় সাধারণ মানুষকেও শামিল করতে ‘পেশাদারি’ পথে হাঁটছে তৃণমূল। লোকসভা ভোটে হাতছাড়া হওয়া একদা তৃণমূলের ‘নিশ্চিত’ আসন বলে পরিচিত জলপাইগুড়িতে এনআরসি এবং নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দলের লাগাতার বিক্ষোভ-আন্দোলনই আমজনতাকে প্রভাবিত করবে বলে দাবি রাজ্যের শাসক দলের।
আজ, রবিবার নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে জেলায় তৃণমূল সংগঠিত ভাবে প্রতিবাদে নামতে চলেছে বলে খবর। এদিন সব ব্লকে মিছিলের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা নেতৃত্ব। জেলায় দলের সব বিধায়ককে আজকের মিছিল আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে দল। বলা হয়েছে, শুধু হাঁটলে হবে না, মিছিলের আয়োজনও করতে হবে বিধায়কদের। কোনও মিছিলে ভিড় কম হলে সরাসরি বিধায়ককে জবাবদিহি করতে হবে। কোনও বিধায়ক বাইরে থাকলে তাঁকে যেভাবেই হোক, নিজের এলাকায় ফিরে গিয়ে মিছিলে থাকতে বলা হয়েছে। পুরো আন্দোলনকে পরিচালনার ভার দেওয়া হয়েছে জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর চন্দন ভৌমিককে। পিকে-র (প্রশান্ত কিশোর) টিমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার দায়িত্বও তাঁর। তার জেরে পুরো আন্দোলন পরিচালনার নেপথ্যেও পিকে-র টিমের ছায়া দেখছেন তৃণমূলেরই অনেকে।
শনিবারই টিএমসিপি জেলা বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। দুপুরে টিএমসিপির মিছিলটি ডিবিসি রোড থেকে শুরু হয় শহরের বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে, ফিরে এসে বিজেপি কার্যালয়ের সামনে হাজির হয়। সেখানে রাস্তায় চলে বিক্ষোভ।
বিজেপির পাল্টা দাবি, টিএমসিপির সমর্থকরা পার্টি অফিসের সামনে জড়ো হয়ে গালিগালাজ করেছে। টিএমসিরির জেলা সভাপতি অভিজিৎ সিংহ অবশ্য গালিগালাজের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পার্টি অফিসের সামনে বিক্ষোভ চলায় উত্তেজনা তৈরি হলেও পুলিশ আসেনি বলে বিজেপির অভিযোগ।
আগামী সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা সদরে মিছিল। আগামী বছরেই জলপাইগুড়ি পুরসভা ভোট। পুরসভায় তৃণমূলের সব কাউন্সিলরদের জেলার মিছিলে থাকতে নির্দেশ গিয়েছে। কোন নেতা মিছিলে এলেন, কতজনকে নিয়ে এলেন, তালিকা রাখছে তৃণমূল। বিধায়কেরা কে কোন মিছিলে হাঁটলেন, কতক্ষণ হাঁটলেন তারও তালিকা হবে।
জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, “বিধায়ক থেকে পঞ্চায়েত— দলের সব জনপ্রতিনিধিকে এলাকার সব বাড়ি গিয়ে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে প্রচার চালাতে বলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy