প্রতীকী ছবি।
জেলা ছাত্র-যুব উৎসবের উদ্বোধক কে হবেন, তা নিয়েও শাসক দলের অন্দরে দ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠল।
তৃণমূল সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ না বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ, কে উদ্বোধন করবেন, সে প্রশ্নে টক্করে নেমেছে দলের যুব ও মূল সংগঠন। মূল তৃণমূল রবীন্দ্রনাথবাবুর পক্ষে সওয়াল করলেও যুব সংগঠনের পক্ষে বিনয়কৃষ্ণবাবুর পক্ষে জোর সওয়াল করা হয়েছে বলে দলের অন্দরের খবর। দু’দিন আগে ওই কমিটির একটি বৈঠকে তা নিয়ে সামনাসামনি দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয় বলেও জানাচ্ছেন দলের অনেক কর্মী। তৃণমূল সূত্রে খবর, দু’পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদের পরে বল ঠেলে দেওয়া হয় দলের কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মণের দিকে। তারপর উমাকান্তবাবুকেই কোচবিহার জেলা ছাত্র ও যুব উৎসবের প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছে। উমাকান্তবাবু দলীয় রাজনীতিতে বিনয়বাবুর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। উমাকান্তবাবু বলেন, “দুটি নামের প্রস্তাব আমার কাছে এসেছে। আলোচনার মাধ্যমেই ওই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। খূব শীঘ্রই তা জানিয়ে দেব।”
দলীয় সূত্রের খবর, জেলা রাজনীতিতে মূল তৃণমূলের সঙ্গে যুব তৃণমূলের বিরোধ দীর্ঘসময়ের। সেই বিরোধের ছায়াই ছাত্র ও যুব উৎসবের মধ্যে পড়েছে বলে জানাচ্ছেন দলের কর্মীরা। ছাত্র ও যুব জেলা কমিটির প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছে যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়, যুব নেতা অভিজিৎ দে ভৌমিক, তৃণমূল জেলা পরিষদের কোচবিহার জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ দত্ত। এ ছাড়াও একাধিক কমিটিতে দুইপক্ষের নেতা ও কর্মীরা রয়েছেন। তৃণমূল সূত্রে খবর, জেলা পর্যায়ের ওই বৈঠকে যুব অনুগামীরা দাবি করেন, অভিজ্ঞ মন্ত্রী হিসেবে বিনয়কৃষ্ণবাবুকে দিয়ে ছাত্র ও যুব উৎসবের উদ্বোধন করাতে হবে। মূল তৃণমূলের অনুগামীরা পাল্টা দাবি করেন, বিগত বছরগুলিতে জেলা ছাত্র ও যুব উৎসবের সূচনা করেছিলেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথবাবু। স্বাভাবিক ভাবেই এ বারে তাঁকেই উদ্বোধক হিসেবে রাখা উচিত। তা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিতন্ডাও হয় বলে খবর দল সূত্রে। মিটিংয়ে উপস্থিত অনেকেই একে অপরের বিরুদ্ধে বলা শুরু করলে উমাকান্তবাবুকে দায়িত্ব দেওয়া হয় বলে জানাচ্ছেন অনেক নেতাই। পার্থবাবু বলেন, “ওই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। উদ্বোধক কে হবেন তা ঠিক করবেন উমাকান্তবাবু।”
আগামী ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি কোচবিহারে জেলা ছাত্র ও যুব উৎসব হবে বলে আপাতত ঠিক হয়েছে। তাই উদ্বোধকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি বলে দাবি আয়োজকদের। দুই মন্ত্রী অবশ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণবাবু বলেন, “আমার কাছে পরামর্শ নিলে আমি রবীন্দ্রনাথবাবুর নাম প্রস্তাব করব। তিনি জেলা সভাপতি। আমি বন দফতরের অনেক প্রকল্প তাঁকে উদ্বোধন করিয়েছি। আমার মনে হয় রবীন্দ্রনাথবাবুই ঠিক আছেন।” উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “কে উদ্বোধন করবেন তা বড় কথা নয়। যে কাউকে দিয়েই তা করানো যেতে পারে। যাঁদের জন্য উৎসব করা হচ্ছে তাঁরা যাতে সুফল পান সে চেষ্টা সবাই মিলে করতে হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy