সূচনা: সংবিধানের ঐক্যের প্রস্তাবনা পাঠ করছেন মৌসম নুর। নিজস্ব চিত্র
‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচিতে মালদহের চাঁচল, ইংরেজবাজার, পুরাতন মালদহ, হরিশ্চন্দ্রপুর, রতুয়ায় তৃণমূলের ‘আদি’ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন দলীয় নেতৃত্ব। শনিবার। কর্মসূচির বিষয়টি তাঁদের বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়। নেতাদের বক্তব্য, বিভিন্ন কারণে দলের পুরনো কর্মীদের একাংশ দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বসে গিয়েছেন। তাঁদের গুরুত্ব দিতে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ কর্মসূচিকে হাতিয়ার করা হয়েছে। দলে ফের ডাক পেয়ে খুশি ‘আদি’ তৃণমূল কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে খবর, বুধবার পুরাতন মালদহের সাহাপুরে দলের কর্মিসভায় জেলায় ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব’ নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দলের পুরনোদের নেতা-কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন। দলের নেতাদের একাংশের বক্তব্য, জেলায় আদি বনাম নব্য তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠেছে। দলের জেলা সভাপতি পদে একাধিক বার বদল হয়েছে। জেলা সভাপতি বদল হতেই বদলায় ব্লক, অঞ্চল সভাপতিও। এমনকি, বুথ স্তরেও বদল হয়। তাতেই দলে ‘গোষ্ঠীর’ সংখ্যা বেড়ে যায়। মাথাচাড়া দেয় ‘দ্বন্দ্ব’ও। তা সামাল দিতেই পুরনোদের গুরুত্ব দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী।
দলীয় সূত্রে খবর, এ দিন মালদহ জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে বাংলার গর্ব মমতা কর্মসূচি। চলবে ৭৫ দিন ধরে। তাতে পদযাত্রা থেকে শুরু করে দলে নতুনদের যোগদানও করানো হবে। একই সঙ্গে জনসংযোগ চলবে গ্রামের বিভিন্ন মোড়, চায়ের দোকানে। এ দিন চাঁচলে ওই কর্মসূচি পালন করেন মৌসম নুর। ইংরেজবাজার ব্লকে নীহাররঞ্জন ঘোষ, পুরাতন মালদহে দুলাল সরকার, রতুয়ায় সমর মুখোপাধ্যায়, হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লকে তাজমুল হক। ওই সব কর্মসূচিতে দলের পুরনো নেতা-কর্মীদের একাংশও হাজির ছিলেন।
মৌসম বলেন, ‘‘মানুষের সঙ্গে মিশে দলনেত্রীর উন্নয়নের কাজের প্রচার করব। দলে সবার গুরুত্ব রয়েছে। পুরনো কর্মীদেরও কর্মসূচিতে শামিল করা হচ্ছে।’’ তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির জেলা সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘মানুষ যে আর পাশে নেই, তা তৃণমূল বুঝতে পেরেছে। তাই কখনও দিদিকে বলো, কখনও আবার বাংলার গর্ব মমতা বলে প্রচার করছে। এতে কোনও লাভ হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy