Advertisement
১১ মে ২০২৪
TMC

বুথ মেপে এগনোর ভাবনা তৃণমূলে

বিধানসভা নির্বাচনের খুব বেশি দেরি নেই। করোনা প্রকোপে সব দলেরই প্রচার কার্যত থমকে গিয়েছে।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০২০ ০৭:২৬
Share: Save:

শুধুই প্রচার নয়, অঙ্ক কষেই আগামী নির্বাচনে পা ফেলতে চাইছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। সেজন্যেই কোচবিহারে বুথ ধরে ধরে হিসেব কষতে শুরু করেছে তারা। গত লোকসভা ভোটের নিরিখে কোন বুথে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের কত ভোটের হেরফের রয়েছে, সেই বুথে বাম-কংগ্রেস জোটের ঝুলিতেই বা কত ভোট গিয়েছে, তা নিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। সেই মতোই ছক কষেই এগোতে চাইছে তৃণমূল। ইতিমধ্যে কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের অঞ্চল নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। দলীয় সূত্রের খবর, দ্রুত ওই বিধানসভার প্রতি বুথের রিপোর্ট করে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। পার্থপ্রতিম বলেন, “সংগঠন আগের থেকে শক্তিশালী হয়েছে। কিছু বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে কাজ হচ্ছে।”

বিধানসভা নির্বাচনের খুব বেশি দেরি নেই। করোনা প্রকোপে সব দলেরই প্রচার কার্যত থমকে গিয়েছে। এই অবস্থায় ছোট ছোট কিছু কর্মসূচির মাধ্যমে সংগঠন শক্ত করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার আসন তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। সাতটি বিধানসভার মধ্যে পাঁচটিতেই এগিয়ে যায় বিজেপি। শুধু সিতাই ও শীতলখুচিতে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। জেলার অপর দু’টি বিধানসভা তুফানগঞ্জ ও মেখলিগঞ্জ। তুফানগঞ্জ আলিপুরদুয়ার বিধানসভার অংশ, মেখলিগঞ্জ জলপাইগুড়ি বিধানসভার অংশ। দুটিতেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। তার আগের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল অধিকাংশ আসনেই জয়ী হয়। অবশ্য সেই হিসেবে যাচ্ছে না তৃণমূল। কারণ তখন বহু আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি।

তৃণমূল মনে করছে, লোকসভার নিরিখেই বুথ ধরে করা হিসেবেই শক্তি যাচাই সম্ভব। লোকসভার পরে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি অনেকটাই বেড়ে যায়। তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল হয়ে পড়ে। তৃণমূল বর্তমান অবস্থাতেই সংগঠন গুছিয়ে উঠতে পারেনি। একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের কার্যত কোনও কমিটি নেই। এই অবস্থায় বুথ-ভিত্তিক পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করা হবে। সঙ্গে ওই বুথে তৃণমূলের কতজন কর্মী বা নেতা রয়েছে তা নথিবদ্ধ করা হবে। সেই হিসেবেই করা হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।

বিজেপির কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে এখন মানুষ নেই। কিছু জায়গায় সরকারি সুযোগ-সুবিধে নেওয়া দুর্নীতিগ্রস্ত কয়েকজন সঙ্গে রয়েছে। তাই বুথ-ভিত্তিক রিপোর্ট তৈরি করে কোনও লাভ নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE