বক্তৃতা: কোচবিহারে সভায় সুব্রত বক্সী। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির সভা চলছিল কোচবিহারের রবীন্দ্রভবনে। ঠিক সেই সময়েই জেলারই এক প্রান্তে যুব ও তৃণমূল সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হলেন একজন। বৃহস্পতিবার দিনহাটার সাহেবগঞ্জের কালমাটিতে ওই সংঘর্ষে দু’পক্ষের আটজন জখম হয়েছেন।
গুলিবিদ্ধ করুণাকান্ত সরকার যুব তৃণমূল কর্মী বলে জানা গিয়েছে। করুণা-সহ জখম পাঁচজনের আঘাত গুরুতর থাকায় তাঁদের দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকি তিনজনকে বামনহাট ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন পাঁচজনের মধ্যে দু’জন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের এবং তিনজন তৃণমূল কংগ্রেসের বলে দাবি। খবর পেয়ে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। কোচবিহারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
সুব্রত অবশ্য এই ঘটনাকে যুব-তৃণমূলের দ্বন্দ্ব ঠিক নয় বলে দাবি করেন। এ দিন তিনি বলেন, “এমন কোনও ব্যাপার নেই।” দিনহাটার বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ বলেন, “এটা কোনও রাজনৈতিক ঘটনা নয়। ব্যক্তিস্বার্থে ওই গন্ডগোল হয়েছে।” যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক নিশীথ প্রামাণিক ওই ঘটনার সঙ্গে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন। হাসপাতালে শুয়ে করুণা জানান, স্থানীয় তৃণমূল নেতা আবু তাহের শেখের কাছে তিনি টাকা পেতেন। দীর্ঘদিন ধরে ওই টাকা দিচ্ছিলেন না তাহের। এদিন করুণা ওই টাকার জন্য তাহেরের বাড়ি যান সেখানেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁর পায়ে সেই গুলি লাগে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাহেরও। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, অভিযুক্ত দুই তৃণমূল নেতাই পেশায় ঠিকাদার। গ্রাম পঞ্চায়েতের নানা কাজ নিয়ে তাঁদের মধ্যে লেনদেন চলত। সেই টাকা নিয়েই এ দিন গন্ডগোল শুরু হয়। ওই ঘটনায় জখম ময়নাল হক বলেন, “এ দিন তৃণমূলের নাম ভাঙিয়ে কিছু দুষ্কৃতী তাহেরের বাড়িতে আক্রমণ করে। বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি-বোমা ছোড়া হয়।”
এদিন কোচবিহারে কর্মিসভায় যোগ দেন সুব্রত বক্সি। ওই সভায় তৃণমূলের দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ থেকে শুরু করে জেলার প্রায় সব নেতাই উপস্থিত ছিলেন। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বাইরে থাকায় তিনি ওই সভায় যোগ দেননি। যুব তৃণমূলের একাধিক নেতা ওই সভায় ছিলেন। ঠিক সেই সময়েই ওই ঘটনায় মিটিং হল জুড়ে কানাঘুষো শুরু হয়। তবে যে কোনও রকমের দ্বন্দ্ব নিয়ে দলের জেলা নেতৃত্বকে নিজের বক্তব্যে সতর্ক করেন সুব্রতবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy