শুধু দলের পদে থাকলেই হবে না, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের বৈঠকে পৌঁছতে গেলে প্রয়োজন আধার অথবা ভোটার কার্ডের। সোমবার থেকেই নকশালবাড়ির দক্ষিণ কোটিয়া জোত ও শিলিগুড়ির ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কেন্দ্রীয় বাহিনী নজরদারি শুরু করেছে। এ দিন দিল্লি থেকে শিলিগুড়িতে পৌঁছেছেন সিআরপিএফের অফিসারেরাও। এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে বিজেপির স্থানীয় নেতাদের জানানো হয়েছে, যে নেতা যে পদেই থাকুক না কেন, অমিত শাহের কাছে ঘেঁষতে হলে তাঁদের দেওয়া ছাড়পত্র নিতে হবে।
নকশালবাড়ির দক্ষিণ কোটিয়া জোতে মঙ্গলবার দু’টি বুথ কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন অমিত শাহ। বুথ কমিটির ৩০ জন পদাধিকারিককে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। তবে শুধু সেই চিঠি থাকলেই হবে না। আধার কার্ড অথবা ভোটার কার্ড না থাকলে যে বাড়িতে বৈঠক হবে, তার চৌকাঠও ডিঙোতে দেওয়া হবে না বলে সোমবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে।
নকশালবাড়ি ব্লকের বিজেপির সভাপতি দিলীপ বাড়ুই বলেন, ‘‘নিরাপত্তার কারণেই আধার কার্ড রাখতে বলা হয়েছিল। তবে সকলের আধার না থাকায় ভোটার কার্ডও বিকল্প থাকছে।’’
সর্বভারতীয় সভাপতির সভা-বৈঠকে কী ‘প্রোটোকল’ হবে, তা দলের রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। তবে নকশালবাড়ি বুথ কমিটির বৈঠকে জেলা নেতাদের অধিকাংশেরই উপস্থিত থাকার ছাড়পত্র মেলেনি। একমাত্র দলের শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি সেই বৈঠকে থাকবেন। শিলিগুড়ির সব নেতাদের নকশালবাড়ি যেতেও মানা করে দেওয়া হয়েছে।
দলের এক নেতার কথায়, ‘‘দিল্লি থেকে জানানো হয়েছে অযথা নেতারা যেন কোথাও ভিড় না করেন।’’
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সফর ঘিরে ইতিমধ্যেই শিলিগুড়িতে উপস্থিত হয়েছেন গেরুয়া শিবিরের এক ঝাঁক নেতা। শনিবার এসেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা দার্জিলিঙের সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। রবিবার এসেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ। এসেছেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মঙ্গলবার সকালে পৌঁছেছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। ডাকা হয়েছে উত্তরবঙ্গের আটটি সাংগঠনিক জেলা সভাপতিকেও। রাতে তাঁদের সঙ্গে নৈশভোজ করার কথা অমিত শাহের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy