প্রতীকী চিত্র
করোনা আবহে লকডাউনের প্রথম থেকেই বন্ধ হয়ে রয়েছে টয় ট্রেন। পরে ধীরে ধীরে যাত্রী স্পেশাল চালু হলেও টয় ট্রেন চালু হয়নি। এ বার সেটাই চালু করতে উদ্যোগী হয়েছেন দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের কর্তারা। এর জন্য দার্জিলিঙের জেলাশাসকের কাছে রেল অনুমতি চাইবে বলে সূত্রের খবর। কাটিহার ডিভিশনের ডিআরএম রবীন্দ্রকুমার বর্মা বলেন, ‘‘অনেকদিন হয়ে গিয়েছে, এবার ট্রেন চালানোর জন্য দার্জিলিং জেলা প্রশাসনের কাছে বলব। আমরাও চাইছি, এবার ট্রেন চলুক।’’
পাহাড়ে পর্যটনে সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত টয় ট্রেন। এখন করোনার সঙ্গে লড়াই করেই পর্যটনকে দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে। পুজোর আগেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাহাড়ে ও ডুয়ার্সে পর্যটন চালুর দাবিতে কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়ের কাছেই দরবার করেছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। সব দিক বিচার করে ট্রেন চালাতে উদ্যোগী হয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। দার্জিলিং হিমালয়ান রেল কোনওদিনই লাভজনক ছিল না। বছরে প্রায় ৭ কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে তা চালাতে হয়। করোনা আবহে আয় আরও কমবে বলেই ধরে নিচ্ছেন রেলের কর্তারা। তাঁদের দাবি, যাত্রী পুরোপুরি হবে না ধরে নিয়েই চলতে হবে। ঐতিহ্যবাহী পরিষেবা দীর্ঘদিন বন্ধ করে রাখলে আন্তর্জাতিক স্তরে রেলের ভাবমূর্তিতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে তাঁরা মনে করছেন।
দার্জিলিং হিমালয়ান রেল সূত্রে দাবি, এর মধ্যে ২০১৭ সালে আন্দোলনের জেরে ক্ষতিগ্রস্থ, গয়াবাড়ি এবং তিনধারিয়া স্টেশনগুলি মেরামত করে নেওয়া হয়েছে। রেল লাইনের কিছু মেরামতি হয়েছে। দু’বার ট্রায়াল রান করে দেখা হয়েছে। জেলা প্রশাসন বা রাজ্যের অনুমতি মিললেই ট্রেন চালু করে দেওয়া হবে। অনুমতি কি মিলবে? জেলা প্রশাসনের একটি অংশ মনে করছে, কী কী শর্তে রেল কর্তৃপক্ষ টয় ট্রেন চালাতে চায়, তা দেখে বিষয়টি রাজ্য সরকারের বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে। দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম বলেন, ‘‘রেলের তরফে প্রস্তাব এলে রাজ্যের পরামর্শেই যা করার করা হবে।’’ হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘রেল যদি রাজ্যের কাছে প্রস্তাব দেয়, আমরা আশা করি, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে নিশ্চয়ই ইতিবাচক সিদ্ধান্তই নেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy